চীন জানিয়েছে, মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থান ‘নজরে রয়েছে’ তাদের এবং বেইজিং আশা প্রকাশ করেছে যে, সংবিধানের অধীনে উভয় পক্ষ তাদের মতপার্থক্য দূর করে দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার চেষ্টা করবে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের। 

বেইজিংয়ে প্রাত্যহিক সংবাদ ব্রিফিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, ‘মিয়ানমারে কী ঘটেছে তাতে আমরা নজর রাখছি। পরিস্থিতি সম্পর্কে আরও বোঝাপড়া তৈরির চেষ্টা করছি আমরা।’ 

তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের বন্ধুপ্রতীম প্রতিবেশী চীন। আমরা আশা করছি, মিয়ানমারের উভয়পক্ষ আইন ও সংবিধানের অধীনে নিজেদের মতপার্থক্য দূর করে রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় মনযোগী হবে।’  

গত মাসে মিয়ানমার সফর করেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং শি। তখন তিনি দেশটির সেনাপ্রধান— অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যিনি আজ মিয়ানমারের ক্ষমতা দখলে নিয়েছেন— মিন অং হ্লাইংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। 

সোমবারের অভ্যুত্থানে সু চি গ্রেপ্তার হওয়ায় মিয়ানমারের ক্ষমতা এখন সেনাবাহিনীর হাতে।

ওই সফরে ওয়াং শিকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী কী অভ্যুত্থানের ইঙ্গিত দিয়েছিল এবং চীন মিয়ানমারের এই অভ্যুত্থানের নিন্দা জানাবে কিনা; এমন প্রশ্নের জবাবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এসব কথা বলেন। 

মিয়ানমারে দীর্ঘদিন ধরে চলা স্বৈরশাসনের পক্ষে দাঁড়িয়ে এসেছে চীন। ২০১৫ সালের নির্বাচনের পর ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) নেত্রী অং সান সু চি সরকারপ্রধান হলে তার সঙ্গেও ঘনিষ্ট হয় বেইজিং।  

বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন খবর জানিয়ে লিখেছে, মিয়ানমারে কৌশলগত অর্থনৈতিক স্বার্থ রয়েছে চীনের। এরমধ্যে প্রধান প্রধান কিছু তেল ও গ্যাস লাইন চলাচলের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ও রয়েছে। 

উল্লেখ্য, সোমবার ভোরে এনএলডির আরও শীর্ষস্থানীয় নেতার সঙ্গে সু টিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর দেশটির সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং ক্ষমতা গ্রহণ করে এক বছরের জন্য দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন। 

এএস