মিয়ানমারের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ দেশের সকল যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচল নিষিদ্ধ করার কথা জানিয়েছে। সোমবার ভোরে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর ফ্লাইট চলাচল নিষিদ্ধ হল। খবর বার্তা সংস্থা এপির।

মিয়ানমারে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসও তাদের ফেসবুক পেজে জানিয়েছে যে, মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় শহর ইয়াঙ্গুনে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সড়ক সোমবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 

সোমবার ভোরে অভ্যুত্থানের পর তাদের হাতে আসা খবর অনুযায়ী মিয়ানমারের সব বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অপর এক টুইট বার্তায় নিশ্চিত করেছে মিয়ানমারে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস।

অভ্যুত্থানের পর রাজধানী নেপিডোর রাস্তায় টহল দিচ্ছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।

মার্কিন দূতাবাস ‘নিরাপত্তা সতর্কতা’ ও জারি করেছে। তাতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির বন্দি হওয়ার খবর জানতে পেরেছে তারা। একইসঙ্গে কিছু ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়ার কথাও জানা যাচ্ছে।  

মিয়ানমারের সাবেক নাম ব্যবহার করে দূতাবাস জানিয়েছে, ‘বার্মায় বেসামরিক ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার শঙ্কা তৈরি হয়েছে এবং আমরা বর্তমান পরিস্থিতি সবসময় পর্যালোচনার মধ্যে রাখছি।’

অং সান সু চিকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারে সামরিক শাসন জারির পর সাময়িকভাবে দেশটির সব ব্যাংকের সঙ্গে ইন্টারনেট সংযোগও ইতোমধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এসএ