উপগ্রহ বহনে সক্ষম রকেট উন্মোচন করল ইরান
সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত কৃত্রিম উপগ্রহ বহনে সক্ষম একটি রকেট উন্মোচন করেছে ইরান। ‘জুলজানাহ’ নামের রকেটটি ২২০ কেজি ওজনের যেকোন স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহকে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫০০ কিলোমিটার উচ্চতায় স্থাপন করতে পারবে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) একথা জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে রকেট উৎক্ষেপণের একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়। ভিডিওতে মরুভূমির কোনো এলাকায় দিনের আলোতে রকেট উৎক্ষেপণ করা হচ্ছে বলে দেখা যায়। কিন্তু কখন বা কোন জায়গা থেকে এই রকেট উৎক্ষেপণ করা হয় তা বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি।
বিজ্ঞাপন
ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মহাকাশ বিভাগের মুখপাত্র আহমাদ হোসাইনি বলেছেন, রকেটটিতে সর্বাধিক শক্তিশালী কঠিন জ্বালানী ইঞ্জিন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ইরানি বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো কঠিন জ্বালানী ব্যবহার করে মহাকাশে রকেট পাঠাতে সক্ষম হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘এ যাবতকালের মধ্যে আবিষ্কৃত সর্বাধিক শক্তিশালী কঠিন জ্বালানী ইঞ্জিন প্রযুক্তি আয়ত্তে আনার পর ইরানি বিশেষজ্ঞরা এই প্রথমবারের মতো কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপক বাহন বা রকেটের পরীক্ষা চালালেন।’
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে তিন ধাপের এই রকেট বিশ্বের যেকোনো আধুনিক রকেটের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম।
মহানবী হযরত মোহাম্মদ (স.) এর দৌহিত্র হোসাইন (রা.) এর ঘোড়ার নাম ছিল ‘জুলজানাহ’। ওই ঘোড়ার নামেই ইরানের এই রকেটটির নামকরণ করা হয়েছে।
হোসাইনি বলেন, পরীক্ষামূলক কয়েকটি পরীক্ষা সম্পন্ন করার পর রকেটটির সাহায্যে কক্ষপথে কৃত্রিম উপগ্রহ স্থাপন করা হবে। তার মতে, কঠিন জ্বালানী ইঞ্জিন প্রযুক্তি আয়ত্ত করার ফলে এখন মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠানোর খরচ কমবে এবং রকেটের গতি বাড়বে।
ইরান এতদিন তরল জ্বালানী চালিত বেশ কয়েক ধরনের রকেট ব্যবহার করে ভূপৃষ্ঠের কক্ষপথে একাধিক কৃত্রিম উপগ্রহ স্থাপন করেছে। ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি গত বছরের এপ্রিল মাসে প্রথমবারের মতো একটি সামরিক স্যাটেলাইট ভূপৃষ্ঠের কক্ষপথে স্থাপন করে।
পরমাণু কর্মসূচির মতো নিজের মহাকাশভিত্তিক কর্মসূচিও শান্তিপূর্ণ বলে দাবি করে আসছে ইরান।
সূত্র: আলজাজিরা
টিএম