চাকরি গেলে যাক, তবুও গোঁফ ছাঁটবেন না এই পুলিশ কনস্টেবল
‘অদ্ভূত’ ও ‘বিশ্রী’ গোঁফ ছাঁটতে অস্বীকায় করায় ভারতে এক পুলিশ কনস্টেবলকে সাময়িক বরাখাস্ত করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ সত্ত্বেও নিজের ‘গর্বের’ গোঁফ ছাঁটতে তিনি অস্বীকার করেছিলেন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশে। রোববার (৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
গোঁফ ছাঁটতে না চেয়ে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ওই পুলিশ সদস্যদের নাম রাকেশ রানা। তিনি কনস্টেবল র্যাংকে মধ্যপ্রদেশ রাজ্য পুলিশের পরিবহন বিভাগে গাড়িচালক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। কিন্তু এরপরও গোঁফ নিয়ে তার ষোলআনা অহংকার। আর সেটি এতটাই যে, চাকরিরও পরোয়া করেন না তিনি।
বিজ্ঞাপন
সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, গোঁফ ও চুল ছাঁটতে সম্প্রতি রাকেশ রানাকে নির্দেশ দেয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেই নির্দেশ তিনি পালন করেননি। আর এ কারণেই তাৎক্ষণিকভাবে তাকে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।
— Anurag Dwary (@Anurag_Dwary) January 9, 2022
রাকেশ রানাকে বরখাস্তের নোটিশে বলা হয়েছে, গাড়িচালক এই কনস্টেবল চুল ও গোঁফ না ছাঁটায় সেটির নেতিবাচক প্রভাব অন্য কর্মীদের ওপর পড়ছিল। অবশ্য গোঁফ রেখে দেওয়ার বিষয়টি নিজের ‘আত্মমর্যাদা’র বলে দাবি করেন রাকেশ।
বিজ্ঞাপন
তার দাবি, ‘আমি একজন রাজপুত। এবং এই গোঁফ আমার অহংকার।’
সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, রাকেশ রানার গোঁফ ছিল একটু বেশিই বড়। নাকের নিচ থেকে শুরু গলা পর্যন্ত। সরু-মোটা সবমিলিয়েই বেশ বড় তার গোঁফ। আর সেই গোঁফকেই কি না ‘নোংরা’ ‘বেঢপ’ বলে আখ্যায়িত করে রাজ্য পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। পরে গোঁফ ছাটাইয়ের নির্দেশ দেওয়া হলেও রাজপুত এই কনস্টেবলের কাছে গোঁফই যেন সম্মান আর সম্ভ্রম। আর তাই উপর মহলের নির্দেশ মানতে নারাজ তিনি।
ভোপাল পুলিশের সহকারি মহাপরিদর্শক প্রশান্ত শর্মা বলছেন, ‘রানাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কারণ তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মানেননি। তাকে গোঁফ ও চুল ছোট করে কাটতে বলা হয়েছিল। কথা না শোনায় তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।’
রানা অবশ্য ওই শাস্তিতে নির্বিকার। তার যুক্তি, পুলিশের ইউনিফর্ম তিনি যথাযথ ভাবেই পরে এসেছেন। কোনো নিয়মের অবহেলা করেননি। কিন্তু এই গোঁফ তিনি বহুদিন ধরে লালন করেছেন। এর সঙ্গে আপস নয়। আর গোঁফের জন্য সাময়িক বরখাস্ত হতেও রাজি তিনি। শেষমেষ হয়েছেনও তাই।
টিএম