মেকং অঞ্চলে মিলল ২০০ নতুন প্রজাতির প্রাণীর সন্ধান
ছবি: সিএনএন
পূর্ব ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মেকং নদীর তীরবর্তী দেশসমূহের জঙ্গলে মিলেছে প্রায় ২০০ নতুন প্রজাতির প্রাণীর সন্ধান। বন্যপ্রাণী রক্ষা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচারের (ডব্লিউডব্লিউএফ) বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
বিশ্বের দ্বাদশ বৃহত্তম নদী মেকংয়ের তীর ঘেঁষে অবস্থিত ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, লাওস, চীন, কম্বোডিয়া ও মিয়ানমার- এই ছয়টি দেশ। এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালে এই ছয় দেশের বনে জঙ্গলের উদ্ভিদ ও প্রাণীর সম্পর্কে জানতে সরেজমিন অনুসন্ধান শুরু করেন ডব্লিউডব্লিউএফের কর্মীরা। তাদের বেরিয়ে আসে এই চমকপ্রদ তথ্য।
বিজ্ঞাপন
এ ব্যাপারে এএফপিকে ডব্লিউডব্লিউএফের পক্ষ থেকে বলা হয়, গত দুই বছরে এই ছয় দেশের বনে জঙ্গলে অনুসন্ধান করে মোট ২৪ টি প্রজাতির নতুন গাছ এবং পোপা লাঙ্গুর বানর, উল্লুক, শিংযুক্ত ব্যাংসহ ২০০টি নতুন প্রজাতির প্রাণীর সন্ধান পাওয়া গেছে।
মিয়ানমারের মৃত আগ্নেয় পর্বত মাউন্ট পোপার বনাঞ্চলে সন্ধান মিলেছে পোপা লাঙ্গুর বানরের। ধারণা করা হয়েছিল, কয়েক বছর আগেই বিশ্ব থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে এই প্রজাতির বানরটি; কিন্তু অনুসন্ধানকারীদের ক্যামেরায় এই বানরটির ছবি পাওয়া গেছে।
বিজ্ঞাপন
একই বনে পাওয়া গেছে সিমিয়ান প্রজাতির উল্লুকের সন্ধানও। বিশ্বে বর্তমানে এই প্রজাতির উল্লুক টিকে আছে মাত্র ২২০ থেকে ২৫০ টি।
এছাড়া মেকং নদীর তীরবর্তী দেশ ভিয়েতনামের জঙ্গলে উজ্জলরঙের শিংযুক্ত ব্যাংয়ের সন্ধান পেয়েছেন ডব্লিউডব্লিউএফ কর্মীরা। এই ব্যাংটির সন্ধান এর আগে কোথাও পাওয়া যায়নি। এছাড়া সেখানে সন্ধান মিলেছে দানবাকৃতির মাগুরমাছ বা জায়ান্ট ক্যাটফিশেরও।
এশিয়ার এই অঞ্চলের অরণ্য জীববৈচিত্রে ভরপুর। এমন কিছু প্রজাতির বসবাস এই অরণ্যে রয়েছে, যা বিশ্বের আর কোথাও দেখা যায় না।
তবে চোরাশিকারিদের তৎপরতা, বনাঞ্চল উজাড়, আবাস ও খাদ্য সংস্থান ধ্বংস হতে থাকায় বর্তমানে হুমকির সম্মুখীন মেকং অববাহিকার জীববৈচিত্র্য।
এসএমডব্লিউ