বাঙালি নাকি ব্যবসা করতে জানে না। এই প্রবাদকে মিথ্যা প্রমাণ করতে আজ থেকে ৮৪ বছর আগে ১৯৩৮ সালে কলকাতার চিৎপুরের বুকে জন্ম নেয় একটি দোকান। সেটাই যে একসময় বাঙালির সোনা কেনার পীঠস্থান হয়ে দাঁড়াবে সেটা তখন কে বুঝেছিল?

সেই সময় ‘সেনকো’ একটা সাধারণ দোকান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল এবং পরবর্তীকালে সেই দোকানে হয়ে উঠল বাঙালির দৈনন্দিন ব্যবহারের সেনকো জুয়েলার্স। পরিবারের বিভেদ অনেক হয়েছে কিন্তু সেনকো জুয়েলার্সের জনপ্রিয়তায় আজ পর্যন্ত ভাটা পড়েনি। ২০২০ সালে সংস্থার তৎকালীন কর্ণধার শংকর সেন মারা যাওয়াতে একটু বিপদের মুখে পড়েছিল এই সংস্থা কিন্তু তারপরে দক্ষ হাতে সেন পরিবার সামলে নেয় সেনকো জুয়েলার্সকে।

বহু বিবাদের মধ্যেও টিকে আছে সেনকো জুয়েলার্স, ভারতজুড়ে মোট ১২৩টি স্টোর রয়েছে এই প্রতিষ্ঠান এর। তবে শুধু গহনা বিক্রি নয় সেই সঙ্গে সামাজিক কাজে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছে সেনকো জুয়েলার্স।

সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের বর্তমান সিইও শুভঙ্কর সেনের তত্ত্বাবধানে সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডস সবসময় সমাজকে কিছু ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবে। আর তাই সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডস নারী ও কম বয়েসীদের জন্য শঙ্কর সেন ইনস্টিটিউট অব ভোকেশনাল স্টাডিজ গঠন করেছে। মধ্যমগ্রামের পি সি সেন চ্যারিটেবল ট্রাস্টের তত্ত্বাবধানে রয়েছে এই ইনস্টিটিউট। নারী ও কম বয়েসীদের স্বনির্ভর করে তোলাই এই ইনস্টিটিউটের লক্ষ্য।  গয়না ডিজাইন, রিটেল সেলস, হোম কেয়ার, বিউটি কেয়ার, হেলথ কেয়ারের মতো কম সময়ের কোর্স করিয়ে তাদের স্বনির্ভর করে তোলার চেষ্টা করে এই ইনস্টিটিউট।

এসকেডি