ছবি: বিবিসি

বেতন-ভাতা বৃদ্ধি ও হাসপাতালগুলোতে চলমান স্বাস্থ্যকর্মীর সংকট মোচনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে ধর্মঘটে গেছেন অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ নিউ সাউথ ওয়েলসের রাজধানী সিডনির নার্সরা। সোমবার বিকেল থেকে এই ধর্মঘট শুরু হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।

প্রায় এক দশক পর এই প্রথম কোনো প্রতিবাদ কর্মসূচিতে গেলেন অস্ট্রেলিয়ার নার্সরা; এবং এমন এক সময় তারা ধর্মঘট ঘোষণা করলেন, যখন করোনাভাইরাসের সবচেয়ে সংক্রামক পরিবর্তিত ধরন ওমিক্রনের প্রভাবে দেশটিতে হু হু করে বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ।

কেবল নিউ সাউথ ওয়েলসেই বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২৫ লাখ।

সোমবার বিকেলে সিডনির বিভিন্ন সড়কে মিছিল ও সমাবেশ করেন কয়েক হাজার নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী। এ সময় তারা হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোতে রোগীর অনুপাতে নার্সের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি নার্সদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবি জানান এবং ঘোষণা দেন— কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ এই দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত ধর্মঘটে থাকবেন তারা।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এর আগে অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় শ্রম কর্তৃপক্ষ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশন্স কমিশনের (আইআরসি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা। সেখানে তারা এই দু’টি দাবি উত্থাপনও করেছিলেন।

বৈঠকে নেতারা বলেছিলেন, অবিলম্বে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোতে নার্সের সংখ্যা বাড়তে হবে এবং নার্সদের বেতন কমপক্ষে আড়াই শতাংশের বেশি বাড়াতে হবে।

কিন্তু আইআরসি কর্মকর্তারা সে সময় দাবি মেনে নেননি। এমনকি, সোমবার যখন নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ধর্মঘটে গেলেন, তখনও কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন— নৈরাজ্যসৃষ্টিকারীরা দেশের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থায় অচলাবস্থা সৃষ্টির জন্য পরিকল্পিতভাবে বিক্ষোভ উস্কে দিচ্ছে।

তবে নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রাদেশিক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নার্সদের এই ধর্মঘটের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছে। পাশাপাশি, বিষয়টির সুরাহা করতে আইআরসিকে তাগিদও দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

এ সম্পর্কিত এক বিবৃতিতে সোমবার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘মহামারির গত ২ বছর ধরে নার্সরা নিরলসভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। বর্তমানে প্রদেশের যে করোনা পরিস্থিতি, তাতে এই ধর্মঘট যদি দীর্ঘমেয়াদী হয়— প্রদেশের স্বাস্থ্য সেবা খাতে বিশাল বিপর্যয় দেখা দেবে।’

এসএমডব্লিউ