পাম বিচে কেমন আছেন ট্রাম্প
ফ্লোরিডায় শান্তিপূর্ণ অবকাশে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (ছবি: স্পুটনিক)
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দু’বার অভিশংসনের মুখে পড়া ডোনাল্ড ট্রাম্প ফ্লোরিডা পাম বিচ শহরে নিরুদ্বেগ ও শান্তিপূর্ণ অবকাশযাপন করছেন। তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পকেও দেখা যাচ্ছে অনেক উৎফুল্ল মেজাজে, যেমনটা হোয়াইট হাউসে থাকার সময়ে কখনও লক্ষ্য করা যায়নি।
ট্রাম্পের জ্যেষ্ঠ সহকারী ও মুখপাত্র জেসন মিলার শনিবার ব্রিটিশ পত্রিকা দি সানডে টাইমসকে এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ওয়াশিংটন ডিসি ছেড়ে ফ্লোরিডার পাম বিচ শহরে আসার পর থেকেই খোশমেজাজে থাকা ট্রাম্প বর্তমানে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আনন্দময় সময় কাটাচ্ছেন এবং বহু বছর পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এই প্রেসিডেন্টকে এমন দুর্ভাবনাহীন এবং নির্ভার অবস্থায় দেখছেন।
বিজ্ঞাপন
গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে ট্রাম্পের টুইটার ও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে এই দু’টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কর্তৃপক্ষ। একই ঘটনায় বন্ধ করা হয়েছে তার ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেলও। যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবন কংগ্রেসে তার বিরুদ্ধে অভিশংসনের অভিযোগ উঠেছে। ৮ ফেব্রুয়ারি কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে অভিশংসনের শুনানি হবে।
তবে এসব ঘটনা তাকে বিচলিত করছে না বলে জানিয়েছেন মিলার। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বরং বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। কারণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওই অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ থাকায় বিরোধীদের ঘৃণা ও বিদ্বেষপূর্ণ পোস্ট তাকে দেখতে হচ্ছে না।’
বিজ্ঞাপন
এদিকে গত ১৩ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে গত ১৩ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসিত হন ট্রাম্প। মাত্র এক বছরের কিছু বেশি সময়ের মধ্যে দেশটির প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প লজ্জাজনকভাবে দু’বার অভিশংসিত হন।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা অভিশংসনের অভিযোগে বলা হয়, তিনি বারবার নির্বাচনে জয়ের মিথ্যা দাবি করেছেন এবং সমর্থকদের গত ৬ জানুয়ারির ক্যাপিটল ভবনে হামলা ও সহিংসতায় ইন্ধন দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করতে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান দলীয় প্রতিনিধিকে চাপ প্রয়োগও করেছিলেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের ভাগ্য এখন ঝুলে আছে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের হাতে। সিনেটে অভিশংসিত হলে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না তিনি। আগামী ৮ ঢেব্রুয়ারি এই শুনানি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
তবে ট্রাম্পের মুখপাত্রের বিশ্বাস তেমন কিছু ঘটবে না। দি সানডে টাইমসকে এ বিষয়ে জেসন মিলার বলেন, ‘তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হবেন; কারণ যে অভিযোগ তার বিরুদ্ধে তোলা হয়েছে, সেটির পক্ষে কোনো সত্যিকারের সাক্ষ্য-প্রমাণ নেই। সুতরাং চাপ নেওয়ার কোনও কারণ নেই।’
সূত্র: স্পুটনিক
এসএমডব্লিউ