আমাদের সময়ের সবচেয়ে সফল ও দক্ষ বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেট একবার বলেছিলেন,‘দিনে ৫০০ পৃষ্ঠা পড়া সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। চর্চিত জ্ঞান সবচেয়ে বেশি কাজ করে।’ তার মতে, বেশি বেশি পড়ার সুফল আসে অনেকটা চক্রবৃদ্ধি মুনাফার মত। সম্ভবত এ কারণেই বিল গেটস বছরে কমপক্ষে পঞ্চাশটি বই পড়েন। অর্থাৎ প্রতি সপ্তাহে একটি নতুন বই। মার্ক জুকারবার্ক ২০১৫ সালে ঘোষণা দিয়েছিলেন, প্রতি সপ্তাহে একটি নতুন বই পড়ার।

নিত্যনতুন ধারণা, সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে বই পড়ার বিকল্প নেই। এর মধ্যদিয়ে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেকে প্রস্তুত করা যায়। সম্প্রতি বিজনেস ইনসাইডার দুনিয়ার প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের পাঠ্যতালিকা খতিয়ে তা প্রকাশ করেছে। নতুনভাবে ব্যবসায় নামার প্রস্তুতি নেওয়া উদ্যোক্তারা নিজেদের পাঠ্যতালিকায়ও রাখতে পারেন এসব বই।

ডেল কার্নিগির ‘হাউ টু উইন ফ্রেন্ডস এন্ড ইনফ্লুয়েন্স পিপল’ এই বইটি অগণিত উদ্যোক্তাকে স্বপ্ন দেখিয়েছে। এমনকি সফল হতেও সহায়তা করেছে। যুগোপযোগী দক্ষ বিক্রয় কর্মী তৈরির চমৎকার আলোচনা করা হয়েছে বইটি। এমন একটি আপনার পাঠ্যতালিকায় রাখা আবশ্যক। বিশেষ করে যারা এখনই ব্যবসায় নামতে ইচ্ছুক, তাদের জন্য এই বইটির গুরুত্ব রয়েছে। এর মধ্যদিয়ে সঠিক ও জুতসই সিদ্ধান্ত নিতে আপনার জন্য সহজ হবে।

বিজনেস অ্যাডভেঞ্চার’স

জন ব্রোকস’র বিজনেস অ্যাডভেঞ্চার’স বইটি নতুন উদ্যোক্তাদের গাইড লাইন হিসেবে কাজ করবে। এ বইয়ে বিভিন্ন মোটর কোম্পানির বিপর্যয়, অবিশ্বাস্য উত্থান, জেনারেল ইলেকট্রনিক্স কোম্পানির সাফল্য ও কেলেঙ্কারির ঘটনাবলী হুবহু তুলে ধরা হয়েছে। কিভাবে একটি সিদ্ধান্ত কোম্পানির রূপরেখা বদলে দিতে পারে, তা আলোচনা করা হয়েছে বইয়ের পরতে পরতে। এছাড়াও প্রতিটি আইকনিক প্রতিষ্ঠান কিভাবে একটি বিশেষ মুহূর্তে খ্যাতি বা কুখ্যাতি অর্জন করেছে সে বর্ণনাও রয়েছে। এ বইটি সম্পর্কে বিল গেটস একবার বলেছিলেন, বিজনেস অ্যাডভেঞ্চার প্রকাশিত হওয়ার চার দশক পরেও তিনি নিয়মিত বইটি পড়ছেন।

দি ইনটেলিজেন্ট ইনভেস্টর

দি ইনটেলিজেন্ট ইনভেস্টর বইটি লিখেছেন বেঞ্জামিন গ্রাহাম। লেখক পেশায় ছিলেন বিখ্যাত বিনিয়োগ উপদেষ্টা। তার লেখনীর মধ্যদিয়ে তিনি বিংশ শতাব্দীর গোরার দিকে বিশ্বব্যাপী মানুষকে বিনিয়োগে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। তার বিখ্যাত সব বইয়ের মধ্যে দি ইনটেলিজেন্ট ইনভেস্টর অন্যতম। এর মধ্যে বেঞ্জামিন ‘ভ্যালু ইনভেস্টিং’ বিষয় বিষদ আলোচনা করেছেন। ক্রুটি-মুক্ত বিনিয়োগ সম্পর্কে আলোচিত এই বইটি শেয়ারবাজারের বাইবেল বলেও পরিচিত। এই বইটিকে ওয়ারেন বাফেট সর্বকালের সেরা বিনিয়োগ বিষয়ক বই বলে উল্লেখ করেছেন।

দি ইনোভেটর’স ডিলেমা

‘দি ইনোভেটর’স ডিলেমা: দি রিভোলেশনারী বুক দ্যাট উইল চেঞ্জ দি ওয়ে ইউ ডু বিজনেস’ বইটি লিখেছেন ক্লেটন এম ক্রিস্টেনসেন। লেখক একটি কোম্পানির সাফল্য ও ব্যর্থতার গল্প তুলে ধরেছেন এই বইয়ে। এবং প্রতিটি ঘটনাই কোন না কোন প্রতিষ্ঠানের ঘটে যাওয়া ঘটনার বিবরণ। ফলে এই বইটি উদ্যোক্তাদের কাছে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। স্টিভ জবস এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, তার অ্যাপল ক্লাউড কম্পিউটিং সিস্টেমকে বিশ্বের এক নম্বর প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে রুপান্তিত করতে এই বইয়ের ভূমিকা অনেক।

হাউ টু উইন ফ্রেন্ডস এন্ড ইনফ্লুয়েন্স পিপল

ডেল কার্নিগির ‘হাউ টু উইন ফ্রেন্ডস এন্ড ইনফ্লুয়েন্স পিপল’ এই বইটি অগণিত উদ্যোক্তাকে স্বপ্ন দেখিয়েছে। এমনকি সফল হতেও সহায়তা করেছে। যুগোপযোগী দক্ষ বিক্রয় কর্মী তৈরির চমৎকার আলোচনা করা হয়েছে বইটি। এমন একটি আপনার পাঠ্যতালিকায় রাখা আবশ্যক। বিশেষ করে যারা এখনই ব্যবসায় নামতে ইচ্ছুক, তাদের জন্য এই বইটির গুরুত্ব রয়েছে। এর মধ্যদিয়ে সঠিক ও জুতসই সিদ্ধান্ত নিতে আপনার জন্য সহজ হবে।