মৌলিক আইনগুলোর বাংলা পাঠ প্রকাশ করতে কমিটি গঠন
আদালতে বাংলা ভাষা ব্যবহারের জন্য মৌলিক আইনগুলোর নির্ভরযোগ্য বাংলা পাঠ প্রকাশ করতে কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বাংলা একাডেমি, আইন কমিশন, ঢাবি আইন অনুষদ ও বাংলা বিভাগকে এই কমিটিতে রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে আদালতে বাংলা ভাষা ব্যবহারের জন্য মৌলিক আইনগুলোর নির্ভরযোগ্য বাংলা পাঠ প্রকাশ করতে রুল জারি করেছেন আদালত।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (১৪ মার্চ) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
বিজ্ঞাপন
এর আগে দেওয়ানি, ফৌজদারিসহ দেশের মৌলিক আইনগুলো বাংলায় প্রণয়ন ও পাঠযোগ্য করতে রিট করেন ১০ জন আইনজীবী।
রিটকারী আইনজীবীরা হলেন- মোস্তাফিজুর রহমান, মীর ওসমান বিন নাসিম, মো. আসাদ উদ্দিন, মো. মুজাহিদুল ইসলাম, জোবায়েদুর রহমান, মো. আব্দুস সবুর দেওয়ান, আল রেজা মো. আমির, আব্দুল্লাহ হিল মারুফ ফাহিম, জি এম মুজাহিদুর রহমান ও মো. জহিরুল ইসলাম।
রিটে বলা হয়, আমাদের সংবিধানের ৩ নং অনুচ্ছেদে ‘বাংলা’কে একমাত্র রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। আর এই অনুচ্ছেদের বিধানকে পূর্ণরূপে কার্যকর করার উদ্দেশ্যে ১৯৮৭ সালে বাংলা ভাষা প্রচলন আইন প্রণয়ন করা হয়। সে আইনের ৩ ধারা অনুযায়ী সর্বত্র তথা সরকারি অফিস, আদালত, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে সব কার্যাবলী অবশ্যই বাংলায় হতে হবে। এই আইনি বিধান সত্ত্বেও দেশের আদালতের অধিকাংশ রায় ও আদেশ এবং অন্যান্য কার্যাবলী ইংরেজিতে প্রদান করা হয়।
রিটে আরো বলা হয়, ‘আদালতে মামলার বিভিন্ন পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে দেওয়ানি কার্যবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি, দণ্ডবিধি, সাক্ষ্য আইন, চুক্তি আইন, তামাদি আইন ও সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের মতো মৌলিক আইনগুলোর গুরুত্ব ও ব্যবহার সর্বাধিক। কিন্তু এখন পর্যন্ত এসব মৌলিক আইনের কোনো নির্ভরযোগ্য বাংলা পাঠ প্রণয়ন করা হয়নি। আদালতে বাংলা ভাষা প্রচলনের স্বার্থে এসব আইনের বাংলায় অনুদিত নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রণয়ন ও প্রকাশ অত্যাবশ্যক।
এমএইচডি/জেডএস