রায় শোনার পর নিশ্চুপে আদালত প্রাঙ্গণ ছাড়েন আসামিরা

জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় ৮ আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ আদেশ দেন। এদিন দুপুর ১২টা ২ মিনিটে ৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া শুরু হয়। রায় শুনতে আদালতে দীপনের স্ত্রী রাজিয়া রহমানসহ আরও দুই স্বজন হাজির হন।

এর আগে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে আদালতের হাজতখানা থেকে আসামিদের ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। আদালতে পৌঁছানোর পর থেকেই হাসিমুখে ছিলেন আসামিরা। তবে রায়ের পর তাদের চোখে মুখে চিন্তার রেখা দেখা যায়। এর আগে একে অপরের সঙ্গে কথা বললেও রায় ঘোষণা পর তারা নিশ্চুপ হয়ে পড়েন।

রায় ঘোষণার আগে এজলাসে আসামিরা যা করছিলেন

বেলা ১১টা ২ মিনিটে আসামিদের এজলাসে উঠানো হয়। এ সময় তাদের নিশ্চিন্ত দেখা যায়। এমনকি হাসিমুখে একে অপরের সঙ্গে কথা বলছিলেন তারা। শুধু নিজেদের মধ্যে নয়, দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। তাদের চেহারায় ভয়ভীতি বা আতঙ্ক দেখা যায়নি।

এ সময় একজন আসামিকে দেখা যায় আদালতে কক্ষে কতজন মানুষ উপস্থিত হয়েছেন তা গুণে অন্য আসামিদের বলছেন। বিচারক আসার আগ পর্যন্ত আসামিরা নিজদের সঙ্গে ও পুলিশের সঙ্গে এভাবেই হাস্যজ্জ্বলভাবে নানান কথা বলেন।

রায় ঘোষণা পর আসামিদের প্রতিক্রিয়া

যখন বিচারক মজিবুর রহমান রায় পড়া শুরু করেন তখন থেকেই আসামিরা নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা ও হাসাহাসি বন্ধ করে দেন। রায় পড়া মনোযোগ দিয়ে তা শুনতে থাকেন। তবে রায় পড়া যত এগোতে থাকে, আসামিদের মুখে কালো ছাপ ততই বাড়তে থাকে। বিচারক যখন ওই হত্যাকাণ্ডের দায়ে আট আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন তখন এজলাসের থাকা ৬ আসামি নিস্তব্ধ হয়ে যান। তাদের মুখের হাসি ও উচ্ছ্বাস হারিয়ে যায়। তারা নিশ্চুপে আদালত প্রাঙ্গণ ছাড়েন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মেজর (বরখাস্তকৃত) সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান, আবদুর সবুর সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে স্বাদ, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার এবং শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের। এদের মধ্যে প্রথম দু’জন পলাতক রয়েছেন।

এমএসি/এমএইচএস