মীর কাদিম ও কালাই পৌরসভা নির্বাচনে বাধা নেই
সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা ও ভোটার তালিকা হালনাগাদ না করায় মুন্সিগঞ্জের মীর কাদিম পৌরসভা ও জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভা নির্বাচন স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। এর ফলে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি (রোববার) এ দুই পৌরসভায় নির্বাচন হতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ননী হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে এ আদেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। গত ৯ ফেব্রুয়ারি সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা ও ভোটার তালিকা হালনাগাদ না করায় যশোর পৌরসভা, মুন্সিগঞ্জের মীর কাদিম পৌরসভা ও জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভার নির্বাচন স্থগিত করেন হাইকোর্ট।
পৃথক তিন রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট পংকজ কুমার কুন্ডু, অ্যাডভোকেট এ এফ এম হাকিম ও আইনজীবী শাহ মোহাম্মদ ইজাজ রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ এম. রাসেল চৌধুরী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এমজি সরোয়ার পায়েল।
পরে এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে যশোর পৌরসভা নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত আবেদনের শুনানি এখনও হয়নি।
জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভার নির্বাচন নিয়ে রিটকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ এফ এম হাকিম বলেন, কালাই পৌরসভার ভোটার তালিকায় ৪শ জন মৃত ব্যক্তির নাম পাওয়া গেছে। এছাড়া অনেকেই ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়া কালাই পৌরসভার ৫ জন বাসিন্দা রিট করেছিলেন।
মুন্সিগঞ্জের মীর কাদিম পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে রিটকারীদের আইনজীবী শাহ মোহাম্মদ ইজাজ রহমান বলেন, সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা ও ভোটার তালিকা হালনাগাদ না করায় এ পৌরসভার নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছিলেন।
যশোর পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে রিটকারী আইনজীবী পংকজ কুমার কুন্ডুকে বলেন, গত বছর যশোর পৌরসভার সীমানা বাড়ানো হয়েছে। নতুন ৯টি মৌজা যশোর পৌরসভার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট হয়েছে। গেজেট হওয়ার পরও নতুন মৌজাগুলোকে কোনো ওয়ার্ডে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি এবং ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। অথচ এই ৯ মৌজার বাসিন্দাদের কাছ থেকে টাক্স নেওয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা বেআইনি। এটা আইনের সম্পূর্ণ লঙ্ঘন। তাই যশোর পৌরসভায় নতুন সংযুক্ত হওয়া এলাকার বাসিন্দা মো. আবদুল্লাহসহ তিন জন নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের শুনানি নিয়ে আদালত যশোর পৌরসভার নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন।
মুন্সিগঞ্জের মীর কাদিম ও জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভায় চতুর্থ ধাপে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোট হওয়ার কথা আছে। এছাড়া যশোর সদর পৌরসভায় পঞ্চম ধাপে ২৮ ফেব্রুয়ারি ভোট হওয়ার কথা।
এমএইচডি/জেডএস