গাজীপুর মহানগরের বাসন থানার কাছাকাছি এলাকায় বাসে এক নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় আসামি হেলপার-সুপারভাইজারের জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে আদেশ দেন। 

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী হাবিবুর রহমান।

২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ওই ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাসের চালক, সহযোগী ও সুপারভাইজারকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, বাসচালক শেরপুরের নকলার আমির হোসেন (২৭), বাসের সুপারভাইজার অমিত শীল ওরফে বাবু মিয়া (২২) ও চালকের সহযোগী ময়মনসিংহের ফুলপুরের মো. মোজাম্মেল (২৩)।

ওই নারীর মামলার অভিযোগ মতে, ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে পাঁচ সন্তানের জননী ঢাকাগামী বাসে করে গাজীপুর সদর উপজেলা থেকে টঙ্গীতে তার বাসায় ফিরছিলেন। কিছু দূর গিয়ে দুই নারী ছাড়া অন্যদের ভাড়ার টাকা ফেরত দিয়ে নামিয়ে দেন চালক, সহযোগী ও সুপারভাইজার। দুই নারী বাস থেকে নামার চেষ্টা করলেও তাদের নামতে দেওয়া হয়নি। এর মধ্যে বয়স্ক নারীকে বাসের পেছনে নিয়ে বেঁধে রেখে ৩৫ বছর বয়সী নারীকে বাসের চালক, সুপারভাইজার, চালকের সহকারী ও অজ্ঞাত আরেক ব্যক্তি ধর্ষণ করেন। পরের দিন ভোরে ধর্ষকেরা ওই স্থানে দুই নারীকে বাসের মধ্যে রেখে পালিয়ে যান। বাস থেকে নেমে দুই নারী চিৎকার করলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বাসন থানায় নিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে বাসটি জব্দ করে। এ ঘটনায় ওই দিনই বয়স্ক নারী বাসন থানায় মামলা করেন।

ভালুকায় স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ: আসামি রমজানের জামিন খারিজ  

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় ধর্ষণ মামলার আসামি রমজান আলীকে জামিন দেননি হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন। 

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ। আসামিপক্ষে ছিলেন মো. সাইফুল ইসলাম।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড.মো.বশির উল্লাহ জানান, ভালুকার  এক ছাত্রীকে ২০১৯ সালের ১৬ জুন স্কুলে যাওয়ার পথে আটকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে দুই যুবক। কাউকে ঘটনা জানালে এসিড মারার হুমকি দেওয়া হয় মেয়েটিকে। ওই স্কুলছাত্রী তখন ভয়ে কাউকে কিছু বলেননি। কিন্তু ২৬ জুন আবারও তাকে একই জায়গায় আটকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় ওই দুই যুবক।  ওই ছাত্রী তখন দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে পরিবারকে বিষয়টি জানান। ঘটনা জানার পর তার বাবা বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় ধর্ষণের মামলা করেন। এতে সাইফুল ও রমজান নামে দুইজনকে আসামি করা হয়। পরবর্তী একই বছরের জুলাইতে সাইফুল বন্দুকযুদ্ধে মারা যায়। পরের বছরের ২৬ আগস্ট গ্রেপ্তার হন রমজান আলী। আসামি রমজান আলীর নিম্ন আদালতে জামিন আবেদন নামঞ্জুর হওয়ার পর তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। হাইকোর্টেও তিনি জামিন পেলেন না।

এমএইচডি/এসএম