চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি এ কে এম ফজলুল্লাহ/ ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহর বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ কেন তদন্ত করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ  এ রুল জারি করেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন- আইনজীবী মো. ইকরাম উদ্দিন খান চৌধুরী। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন- আইনজীবী মো. নওশের আলী মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

এর আগে, ২৩ সেপ্টেম্বর রিটটি এক মাসের জন্য মুলতবি করে দুদকের পদক্ষেপ জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। ইকরাম উদ্দিন খান চৌধুরী জানান, চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডির বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে। এরপর এক গ্রাহক চট্টগ্রামের মোমিন রোডের বাসিন্দা হাসান আলী এসব উল্লেখ করে ১১ সেপ্টেম্বর দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক বরাবরে ‘চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম ফজলুল্লাহর গুরুতর দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি প্রসঙ্গে অভিযোগ’ শীর্ষক একটি অভিযোগ দেন। কিন্তু কোনো সাড়া না পেয়ে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন।

রিট আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে, এলজিআরডি সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, চট্টগ্রাম ওয়াসা, চট্টগ্রাম ওয়াসা বোর্ড, চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের বিভাগীয় পরিচালককে। এসব অভিযোগের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন কী পদক্ষেপ নিয়েছে ২৩ সেপ্টেম্বর তা জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই আদেশের ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার রুল জারি করেছেন আদালত।

এমএইচডি/এফআর