গত বছরের নভেম্বরে মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরকে গ্রেপ্তার করা হয়

গাড়ি ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে মাদক মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় বদলির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত সিকদার এ আদেশ দেন। এরপর থেকে সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন আদালতে বাড্ডা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তার দায়িত্বরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাজহারুল ইসলাম।

গত ২৬ জানুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল মালেক চার্জশিট দাখিল করেন।২২ নভেম্বর গোল্ডেন মনিরকে পৃথক তিন মামলায় ১৮ দিন এবং ৩ ডিসেম্বর ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এর আগে ২০ নভেম্বর গভীর রাতে রাজধানীর বাড্ডায় মনিরের বাড়ি ঘিরে রাখে র‌্যাব। এরপর ২১ নভেম্বর দুপুর পর্যন্ত টানা আট ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে ওই বাসা থেকে ৬০০ ভরি সোনার গহনা, বিদেশি পিস্তল-গুলি, মদ, ১০টি দেশের বিপুল পরিমাণ মুদ্রা ও নগদ ১ কোটি ৯ লাখ টাকা জব্দ করা হয়।

র‌্যাব জানায়, ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় দুই শতাধিক প্লট ও ফ্ল্যাটের মালিক গোল্ডেন মনির। রাজউকের কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে জালিয়াতির মাধ্যমে অসংখ্য প্লট হাতিয়ে নেন তিনি। প্রাথমিকভাবে ৩০টি প্লট ও ফ্ল্যাটের কথা স্বীকার করেন মনির। জব্দ করা হয় দুটি বিলাসবহুল গাড়ি। প্রতিটির দাম প্রায় ৩ কোটি টাকা। পরে তার বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় অস্ত্র, বিশেষ ক্ষমতা এবং মাদক আইনের পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করে র‌্যাব।

টিএইচ/জেডএস