বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সহযোগী অধ্যাপক ডা. তারেক রেজা আলীকে ব্ল্যাকমেইলের ঘটনায় প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ফাতেমা জাহান নামে এক নারীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২২ আগস্ট) ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. শান্ত ইসলাম মল্লিক তার জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

আদালতে ফাতেমার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মিজানুর রহমান মামুন। বাদীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ।

পরে ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাজধানীর খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা ফাতেমা জাহান নামে এক নারী গত ডিসেম্বর মাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডা. তারেক রেজা আলীর নামে অভিযোগ করেন তার সঙ্গে তারেক রেজার অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। পরে ফাতেমা জাহান চিঠির মাধ্যমে তারেক ডা. রেজাকে বিভিন্নভাবে ব্ল্যাকমেইল করেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে তাকে হয়রানিমূলক ব্ল্যাকমেইল করে চাঁদা চাওয়া হয়। এ বিষয়ে গত জানুয়ারি মাসে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফাতেমা জাহানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মামলা দায়ের করেন অধ্যাপক ডা. তারেক রেজা আলী। মামলায় ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে তাকে হয়রানি করায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আর্জি জানানো হয়। এই মামলায় আজ ফাতেমা জাহান জামিন আবেদন করেন। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদেশের পর ব্যারিস্টার সুমাইয়া আাজিজ বলেন, বাংলাদেশের সমাজে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা পুরুষদের ব্ল্যাকমেইল করে, থ্রেট দিয়ে হয়রানি করছেন। আমার মনে হয় আজকের এই আদেশ সংঘবদ্ধ চক্র বা দুষ্টুচক্রকে নিরৎসাহিত করবে।

এদিকে গত ১০ জানুয়ারি কানাডা থেকে পরিচালিত আইপিটিভি ফাতেমা জাহানের তথ্যের ভিত্তিতে ‘নাগরিক টিভি’সহ অন্যান্য মিডিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডা. তারেক রেজা আলীকে নিয়ে প্রচার করা মানহানিকর ভিডিও ও সংবাদ অবিলম্বে সরানোর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে আইনজীবী ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ডা. তারেক রেজা আলী বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহযোগী অধ্যাপক। চক্ষু বিশেষজ্ঞ। গত ৩৫ বছর ধরে তিনি চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। ফাতেমা জাহান একটি সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে গত কিছুদিন ধরে পারিবারিক এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বিভিন্নভাবে তাকে হয়রানি এবং ব্ল্যাকমেইল করে আসছিলেন।

এমএইচডি/জেডএস