২০১৫ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেন জব্দের ঘটনায় চোরাচালান ও মাদক আইনে দায়ের করা দুই মামলায় বিচারক ছুটিতে থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর (সোমবার) দিন ধার্য করেছেন আদালত। 

বুধবার (৩০ মার্চ) ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী।

তিনি বলেন, কোকেন জব্দের ঘটনায় চোরাচালান ও মাদক আইনে দায়ের হওয়া মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল আজ। কিন্তু চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁইয়া ছুটিতে থাকায় ১৯ সেপ্টেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। 

মামলার আসামিরা হলেন- চট্টগ্রামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খান জাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ, তার ভাই মোস্তাক আহম্মদ, খান জাহান আলী লিমিটেডের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা সোহেল, মোস্তফা কামাল, আইটি বিশেষজ্ঞ মেহেদী আলম, আতিকুর রহমান, কসকো বাংলাদেশ শিপিং লাইনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (করপোরেট, বিক্রয় ও বিপণন) এ কে এম আজাদ, যুক্তরাজ্য প্রবাসী ফজলুর রহমান ও বকুল মিয়া এবং সিঅ্যান্ডএফ কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৭ জুন চট্টগ্রাম বন্দরে একটি কনটেইনার জব্দের পর সিলগালা করে কর্তৃপক্ষ। পরে আদালতের নির্দেশে কন্টেইনার খুলে ১০৭টি ড্রাম থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। প্রথমে বন্দরের পরীক্ষায় এসব নমুনায় কোকেনের উপস্থিতি না মেলায় ঢাকার বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) এবং বাংলাদেশ ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে তরলের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। দুই পরীক্ষাগারেই নমুনায় তরল কোকেনের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। এ ঘটনায় একই বছরের ২৮ জুন চট্টগ্রামের বন্দর থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ ও চোরাচালান আইনে দুটি মামলা করে পুলিশ।

কেএম/জেডএস