প্রয়াত লেখক মুশতাক আহমেদ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় লেখক মুশতাক আহমেদ কারাবন্দি হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় প্রাথমিক প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ প্রতিবেদন দাখিল করেন।

প্রতিবেদনে তিনি বলেন, গত ২০২০ সালের ৬ মে ঢাকা সিএমএম আদালত হতে মুশতাক আহমেদকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। ২৪ আগস্ট ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বদলি করে তাকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি  হঠাৎ অচেতন হয়ে গেলে কারা-চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ৭টা ২০ মিনিটে জরুরিভিত্তিতে তাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর সেখানকার জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মুশতাককে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রাত ৮টা ২০ মিনিটে মৃত ঘোষণা করেন। পরের দিন (২৬ ফেব্রুয়ারি) ১২টা ২৫ মিনিটে মৃতদেহের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে মুশতাকের চাচাতো ভাই নাফিসুর রহমানের আবেদনের প্রেক্ষিতে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়।

লেখক মুশতাকের মৃত্যুর ঘটনায় সদর (জিএমপি) থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে ১০ মাস ধরে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে ছিলেন লেখক মুশতাক আহমেদ। সেখান কারাবন্দি অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর।

দেশে কুমির চাষের অন্যতম উদ্যোক্তা মুশতাক আহমেদ বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। থাকতেন ঢাকার লালমাটিয়ায়। তার সঙ্গে স্ত্রী ও বৃদ্ধ বাবা-মাও থাকতেন। শুক্রবার সকালে তার মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানা গেছে। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারবিরোধী পোস্ট দেওয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর ও লেখক মুশতাক আহমেদকে ২০২০ সালের ৫ মে রাজধানীর কাকরাইল ও লালমাটিয়া থেকে আটক করে র‌্যাব। পরে রমনা থানায় মুশতাকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে র‌্যাব তিনটি মামলা করে।

টিএইচ/এইচকে