রিমান্ডে নেওয়া বিএনপির নেতাকর্মীরা

রাজধানীতে ছাত্রদলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির গ্রেপ্তার ১৩ নেতাকর্মীর ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (০১ মার্চ) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর এ আদেশ দেন।

রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া আসামিরা হলেন- মঞ্জুরুল আলম, আতাউর রহমান, মাসুদ রানা, শফিকুল ইসলাম, শাহীরাজ, আহসান হাবিব ভূইয়া, কবির হোসেন, মনোয়ার ইসলাম, আরিফুল হক, আনিসুর রহমান, আবু হায়াত মো. জুলফিকার, আতিক মোর্শেদ ও রমজান আহমেদ তপন।

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল্লাহ আসামিদের ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করেন। একইসঙ্গে তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ বিরোধিতা করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা রাজধানীতে একটি সমাবেশ করেন। এরপর নেতাকর্মীদের সড়ক থেকে সরাতে একদিকে অ্যাকশনে নামে পুলিশ, অন্যদিকে ইট-পাটকেল ছুড়ে ও বাঁশ দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলা, হত্যাচেষ্টা ও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ তুলে এ মামলা দায়ের করা হয়। রোববার দিবাগত রাতে পুলিশ বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করে। মামলায় এজাহারনামীয় ৪৭ জন নেতাকর্মী ও অজ্ঞাতপরিচয় ২০০/২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সোমবার সকাল ১০টায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. সাজ্জাদুর রহমান। তিনি ঢাকা পোস্টকে জানান, জাতীয় প্রেসক্লাবে সমাবেশ ডেকে ছাত্রদলসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করে, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। এই হামলার ঘটনায় রাতে অজ্ঞাতপরিচয়দের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা হয়। 

তিনি আরও বলেন, যারা পুলিশের ওপর হামলা করেছে, গাড়ি ভাঙচুরসহ রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করেছে তাদের প্রত্যেককে শনাক্তে কাজ চলছে। রোববার বিকেল থেকে শাহবাগ থানা, রমনা উপ-কমিশনারের কার্যালয়সহ রমনা বিভাগের বেশ কয়েকটি থানা এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করা হচ্ছে।

টিএইচ/জেডএস