দুই হাজার কোটি টাকার অর্থপাচার মামলায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী ও ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের একান্ত সচিব (এপিএস) এ এইচ এম ফুয়াদকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) এ বিষয়ে জারি করা রুল মঞ্জুর করে বিচারপতি মো.নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

পরে আমিন উদ্দিন মানিক জানান, রুল মঞ্জুর করে দুই হাজার কোটি টাকার অর্থ পাচার মামলায় সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) এ এইচ এম ফুয়াদকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে অ্যাটর্নি জেনারেল বরাবরে নোট দেওয়া হয়েছে।

২০২০ সালের ২৬ জুন দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের তৎকালীন সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ অন্যদের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করা হয়। সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ফরিদপুরে এলজিইডি, বিআরটিএ ও সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কাজের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বরকত ও রুবেল। এছাড়া মাদক ব্যবসা ও ভূমি দখল করে অবৈধ সম্পদ গড়েছেন তারা। ২৩টি বাস, ট্রাকসহ বিলাসবহুল গাড়ির মালিক হয়েছেন ওই দুই ভাই। বিপুল পরিমাণ অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছেন তারা। এছাড়া ১৯৯৪ সালের ২০ নভেম্বর রাজবাড়ীতে এক আইনজীবী হত্যা মামলার আসামি ছিলেন বরকত ও রুবেল। 

এজাহারে আরও বলা হয়, ২০২০ সালের ১৮ জুন মিরাজ আল মাহমুদ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত হন। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, বরকত ও রুবেল অন্তত ২ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।

এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ফুয়াদকে গত বছরের ১২ অক্টোবর রাতে রাজধানী থেকে গ্রেফতার করা হয়।

এমএইচডি/কেএ