সম্পদ বিবরণী দাখিল না করায় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রী জামিলা নাজনীল মাওলার বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিচারিক আদালতে ওই চার্জশিট (অভিযোগ পত্র) জমা দেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক নাসির উদ্দিন।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) দুদকের জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। তিনবছর তদন্তের পর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে সংস্থাটি। ২০১৯ সালের ১৩ই মে আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রীর সম্পদ দুদকে দাখিলের জন্য নোটিশ দেওয়া হয়। কারাবন্দি থাকায় কারাগারেও তখন নোটিশ পাঠানো হয়। 

নোটিশ পেয়ে তিন মাস সময় চেয়ে আবেদন করেন আসলাম চৌধুরী। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে ২১ কর্মদিবস, এরপর আরও ১৫ কর্মদিবস সময় দেয় দুদক। কিন্তু তিনি ওই সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করায় মামলা দায়ের করে দুদক। এরপর আদালতে দুদক আইনের ২৬ (২) ধারায় মামলার অভিযোগ পত্র দাখিল করা হয়। 

জানা গেছে, দুদকের তদন্তে মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরী তার অর্জিত ২০ কোটি ৫৭ লাখ ৮৩ হাজার ৪২২ টাকার সম্পদের মধ্যে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ১ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৩ টাকার সম্পদের খোঁজ মিলেছিল।

এদিকে এবি ব্যাংক থেকে ৩২৫ কোটি টাকা ঋণ আত্মসাতের মামলায় বিএনপি নেতা ও রাইজিং স্টিল মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসলাম চৌধুরীসহ চারজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার কাজ শুরু হয়েছে। আসামিদের মধ্যে জামিনে ছিলেন আসলামের স্ত্রী জামিলা নাজনীন মাওলা। আর পলাতক রয়েছেন আসলামের দুই ভাই জসিম উদ্দিন চৌধুরী ও আমজাদ হোসেন চৌধুরী। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার উৎখাত ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ২০১৬ সালের ১৫ মে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন চট্টগ্রামের আলোচিত নেতা আসলাম চৌধুরী। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।

আরএম/কেএ