শাহবাগে পুলিশের ওপর হামলা : প্রতিবেদন দাখিল ১৬ ফেব্রুয়ারি
শাহবাগে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়েছে। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১২জানুয়ারি) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন প্রতিবেদন দাখিল করেননি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। সে কারণে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুর। আদালতের শাহবাগ থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিজাম উদ্দিন ফকির বিষয়টি জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
এর আগে ২০২২ সালের ৭ আগস্ট সন্ধ্যায় জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজধানীতে সমাবেশ ডাকে বামপন্থী সংগঠনগুলো। সমাবেশে লাঠিচার্জের পর বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ।
মামলার আসামিরা হলেন—ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সভাপতি অনিক রায়, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি সাদেকুল ইসলাম সোহেল, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি আরিফ মঈনুদ্দীন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি সুনয়ন চাকমা, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের সভাপতি তৌফিকা প্রিয়া, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জয়দীপ ভট্টাচার্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য শান্তা ও ছাত্র ফেডারেশনের জুবা মনি, জনৈক সানি আবদুল্লাহ, জাবিল আহম্মেদ জুবেন, জাওয়াদ, বাঁধন, আদনান, শাহাদাত, ইভান, অনিক, দিয়া মল্লিক, তানজিদ ও তামজিদ।
বিজ্ঞাপন
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২২ সালের ৭ আগস্ট সন্ধ্যায় জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা বিনা অনুমতিতে বেআইনিভাবে শাহবাগ মোড়ের পাকা রাস্তার ওপর বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এসময় তারা সমাবেশ করার নামে রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করেন। পুলিশ তাদের রাস্তার যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার অনুরোধ করে। কিন্তু আসামিরা অনুরোধ ও নিষেধ অমান্য করেন। আসামিরা মিছিল ও স্লোগানের মাধ্যমে হাতে লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেলসহ ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। পুলিশ তাদের রাস্তা থেকে সরে যেতে অনুরোধ করে।
পরে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের থামানোর চেষ্টা করে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা লাঠিসোঁটা ও ইটের টুকরা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে পুলিশের ওপর আঘাত করে ও মারধর করে। তাদের লাঠির আঘাতে রমনা অঞ্চলের সহকারী কমিশনার বায়েজীদুর রহমান, সহকারী কমিশনার (প্যাট্রল) বাহা উদ্দীন ভূঞা ও উপ-পরিদর্শক রাশেদুল আলম আহত হন। পরে পুলিশ নিজেদের জানমাল ও জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ঘটনাস্থল থেকে বিক্ষোভকারীদের ব্যবহৃত তিনটি বিভিন্ন আকারের বাঁশের লাঠি, সাতটি বিভিন্ন আকারের কাঠের লাঠি ও ১২টি ইটের টুকরা জব্দ করা হয়। পরে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশ।
এনআর/কেএ