সংগৃহীত ছবি

বিএনপির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপুকে জামিন পাওয়ার পর সুনির্দিষ্ট মামলা বা অভিযোগ ছাড়া জেলগেটে গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (১৭ এপ্রিল) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, অ্যাডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

রুলে সপুকে জামিনের পর সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কারাফটকে গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদেশের পর আইনজীবীরা জানান, গত বছরের ৩০ নভেম্বর পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর হাজারীবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় গত ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে মীর সরাফত আলী সপুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই মামলায় তিনি ১৬ ফেব্রুয়ারি জামিন পান। এরপর কারামুক্ত হওয়ার প্রাক্কালে কারাফটক থেকে তাকে রমনা থানায় দায়ের করা নাশকতার এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। যদিও গত ৫ ডিসেম্বর রমনা থানায় দায়ের করা ওই মামলার এফআইআরে তার নাম ছিল না।

এরপর ওই মামলায় ২২ মার্চ তিনি জামিন পান। জামিন পেয়ে কারাগার থেকে বের হওয়ার আগে আবার জেলগেট থেকে রমনা থানা ও পল্টন থানায় দায়ের করা পৃথক দুটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এই মামলা দুটির এফআইআরেও সপুর নাম ছিল না।

যেহেতু দুইবার জামিন পাওয়ার পরও এফআইআরে নাম না থাকা সত্ত্বেও সপুকে জেলগেটে বারবার গ্রেপ্তার দেখানো হয়, এ কারণে পরে আবার জামিন পাওয়ার পর পুনরায় অন্য মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আশঙ্কায় তিনি হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

আজ সেই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত মীর সরাফত আলী সপুকে জামিন পাওয়ার পর সুনির্দিষ্ট অভিযোগ বা মামলা ছাড়া জেলগেটে গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এমএইচডি/জেডএস