গত ৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ফাতিমা তাসনিম শিখা ও তার আশ্রয়দাতা হুসনা আক্তার হুসনাকে

ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল ফটক থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার জঙ্গি সোহেলের স্ত্রী ফাতিমা তাসনীম শিখার তৃতীয় দফায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

শিখাকে আশ্রয়দাতা হুসনা আক্তার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।

আজ (মঙ্গলবার) দুই দফায় ৮ দিনের রিমান্ড শেষে দুই জনকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। এদের মধ্যে হুসনা আক্তার আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। একইসঙ্গে ফাতেমা তাসনীম শিখার আবারও সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত আসামি হুসনা আক্তারের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। অপরদিকে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত ফাতেমা তাসনীম শিখার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

আদালতের কোতয়ালী থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আশ্রাফ আলী বিষয়টি জানিয়েছেন। 

এর আগে গত ৮ এপ্রিল এবং ১৪ এপ্রিল দুই আসামির আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে শিখাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময়ে তার আশ্রয়দাতা হুসনাকেও আটক করা হয়।

গত বছরের ২০ নভেম্বর দুপুরের দিকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল ফটক থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি আবু সিদ্দিক সোহেল ও মইনুল হাসান শামীমকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় এজাহারনামীয় ২০ জনসহ আরও ২১ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। ডিএমপির প্রসিকিউশনের পুলিশ পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন আকন্দ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

এনআর/এনএফ