প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সমাবেশস্থলে বোমা রাখার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ১৪ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণা শেষে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি একে অপরের দিকে তাকিয়ে হাসাহাসি করেন। তাদের মধ্যে দুয়েকজন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েই ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন এ ‘রায় সঠিক নয়’। কয়েকজন আবার রায় শুনে ‘আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার’ বলতে থাকেন।

আদালত থেকে বের হওয়ার সময় আসামিরা সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‌‌‌'ছবি তুলেন, ছবি তুলেন'। পুলিশের গাড়িতে উঠানোর পরে আসামিদের একজন বলেন, 'আমরা এই মামলার সঙ্গে জড়িত নয়।'

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত ১৪ আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।  ২০০০ সালের ২১ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় সমাবেশস্থলে ৭৬  ও ৪০ কেজি ওজনের বোমা রাখার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এ রায় ঘোষণা করে আদালত।

এর আগে মঙ্গলবার বেলা ১২টা ১৫ মিনিটে আসামিদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ১২টা ২০ মিনিটে এজলাসে হাজির হন বিচারক। এরপর বিচারকের নির্দেশে মামলার রায় পড়া শুরু করেন সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের স্টোনোগ্রাফার।

গত ১১ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন ও শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. আজিজুল হক ওরফে শাহনেওয়াজ, মো. লোকমান, মো. ইউসুফ ওরফে মোছহাব মোড়ল, মোছহাব হাসান ওরফে রাশু, শেখ মো. এনামুল হক, মো. মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ, মো. মাহমুদ আজহার ওরফে মামুনুর রশিদ, মো. রাশেদুজ্জামান ওরফে শিমুল, মো. তারেক, মো. ওয়াদুদ শেখ ওরফে গাজী খান, মো. আনিসুল ইসলাম ও সারোয়ার হোসেন মিয়া। আসামিদের মধ্যে মাওলানা আমিরুল ইসলাম ওরফে জেন্নাত মুন্সী ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান জামিনে রয়েছেন।

টিএইচ/এসকেডি