মিতু হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিচ্ছেন পলাতক আসামি মুছার স্ত্রী
চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিচ্ছেন অন্যতম আসামি মুছার স্ত্রী পান্না আক্তার, সরোয়ার আলম ও মোখলেসুর রহমান ইরাদসহ মোট তিনজন।
সোমবার (১৭ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় (রিপোর্টটি লেখা পর্যন্ত এখনো স্বাক্ষ্যগ্রহণ চলছে)। এদিন মিতুর স্বামী ও মামলার প্রধান আসামি সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারসহ অন্যান্য আসামিরা আদালতে উপস্থিত রয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
চট্টগ্রাম মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুর রশিদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, মিতু হত্যা মামলার সাক্ষীদের মধ্যে পান্না আক্তার হলেন অন্যতম প্রধান আসামি মুছার স্ত্রী। আর সারোয়ার আলম বিদেশি নারী গায়ত্রীর বাসার কেয়ারটেকার। এছাড়া মোখলেসুর হলেন মিতু হত্যার পর বিকাশে টাকা লেনদেনকারী।
এর আগে গত ২৬ জুন আলোচিত হত্যা মামলাটিতে সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের বাসার গার্ড আবদুস সাত্তার মোল্লার সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মিতু। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তৎকালীন পুলিশ সুপার ও মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয়দের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তবে মামলাটিতে স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে স্বামী বাবুল আক্তারেরই সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ২০২১ সালের ১২ মে আগের মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। একই দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় দ্বিতীয় মামলাটি দায়ের করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন। ওইদিনই মামলাটিতে বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পিবিআই। সেই থেকে কারাগারে রয়েছেন বাবুল।
এদিকে, প্রথম মামলায় পিবিআইয়ের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর নারাজির আবেদন করেন বাবুলের আইনজীবী। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একই বছরের ৩ নভেম্বর নারাজি ও পিবিআইয়ের প্রতিবেদন খারিজ করে মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন আদালত।
এরপর দুটি মামলাই তদন্ত করতে থাকে পিবিআই। তবে পরবর্তী সময়ে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী গত বছরের ২৫ জানুয়ারি মিতুর বাবার দায়ের করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়। এরপর একই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রথম মামলাটি অধিকতর তদন্ত শেষে বাবুলসহ সাতজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।
গত ১৩ মার্চ আলোচিত মামলাটিতে বাবুল আক্তারসহ সাত আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
এমআর/কেএ