সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য
রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ মোহাম্মদ আলী হোসাইনের আদালতে জবানবন্দি দেন তিনি। তবে এদিন তা শেষ না হওয়ায় আগামী ৪ অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। এখন পর্যন্ত মামলাটিতে ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এ মামলা ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ বিচারাধীন ছিল। ১৩৫ কার্যদিবসে মামলাটির নিষ্পত্তি না হওয়ায় মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে ফেরত পাঠানোর আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। পরে মামলাটি মহানগর দায়রা আদালতে ফেরত পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
মামলার আসামিরা হলেন, নিহতের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী এবং তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহীন, শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান ও মারুফ রেজা।
বিজ্ঞাপন
২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম।
অভিযোগপত্রে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, সগিরা মোর্শেদের পরিবারের সঙ্গে আসামি শাহীনের বিভেদ তৈরি হয়েছিল। এছাড়া শাশুড়ি সগিরাকে অনেক অপছন্দ করতেন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সগিরা-শাহীনেরও মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। সম্বোধন করা নিয়েও পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল।
সগিরার কাজের মেয়েকে মারধর করেন আসামি ডা. হাসান আলী চৌধুরী। এ নিয়ে পারিবারিক বৈঠকে সগিরাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন শাহীন। আসামিরা নিজেদের বাসায় বসে সগিরাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ডা. হাসান আলী তার চেম্বারে অন্য আসামি মারুফ রেজার সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় হত্যার চুক্তি করেন।
১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সগিরাকে গুলি করে হত্যা করেন মারুফ রেজা ও আনাস মাহমুদ। ওই ঘটনায় সগিরার স্বামী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর সগিরা মোর্শেদের ভাসুরসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৩১ বছর পর এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হয়। এরপর গত বছরের ১১ জানুয়ারি আদালতে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী ও সগিরা মোর্শেদের স্বামী আব্দুস সালাম চৌধুরী। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
এনআর/কেএ