সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য অব্যাহত
রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলামের সাক্ষ্য চলমান রয়েছে।
বুধবার (৪ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ মোহাম্মদ আলী হোসাইনের আদালতে তিনি জবানবন্দি দেন। তবে এদিন তা শেষ না হওয়ায় আগামীকাল সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। এখন পর্যন্ত মামলাটিতে ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ বিচারাধীন ছিল। ১৩৫ কার্যদিবসে মামলাটির নিষ্পত্তি না হওয়ায় মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে ফেরত পাঠানোর আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। পরে মামলাটি মহানগর দায়রা আদালতে ফেরত পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
মামলার আসামিরা হলেন— নিহতের ভাশুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী ও তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহীন, শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান ও মারুফ রেজা।
বিজ্ঞাপন
২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আদালতে এ অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।
অভিযোগ পত্রে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, সগিরা মোর্শেদের পরিবারের সঙ্গে আসামি শাহীনের বিভেদ তৈরি হয়েছিল। এছাড়া শাশুড়ি সগিরাকে অনেক অপছন্দ করতেন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সগিরা-শাহীনের মধ্যেও দ্বন্দ্ব ছিল। সম্বোধন করা নিয়েও পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল।
সগিরার কাজের মেয়েকে মারধর করে আসামি ডা. হাসান আলী চৌধুরী। এ নিয়ে পারিবারিক বৈঠকে শাহীন সগিরাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। পরে আসামিরা নিজেদের বাসায় বসে সগিরাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ডা. হাসান আলী তার চেম্বারে অন্য আসামি মারুফ রেজার সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় হত্যার চুক্তি করেন।
১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই মারুফ রেজা ও আনাস মাহমুদ সগিরাকে গুলি করে হত্যা করেন। ওই ঘটনায় সগিরার স্বামী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত সগিরা মোর্শেদের ভাসুরসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৩১ বছর পর এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হয়। এরপর গত বছরের ১১ জানুয়ারি মামলার বাদী ও সগিরা মোর্শেদের স্বামী আব্দুস সালাম চৌধুরী আদালতে সাক্ষ্য দেন। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
এনআর/কেএ