জমির বিক্রয় দলিল রেজিস্ট্রেশন করার জন্য সরকার নির্ধারিত উৎসে করের অসংগতি দূর করতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ভূমি, আইন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সচিব এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ রেজিস্ট্রি ডাকযোগে নোটিশটি পাঠান।

পরে নোটিশ দাতা বলেন, জমির বিক্রয় দলিল রেজিস্ট্রেশন করার জন্য সরকার যে উৎস কর নির্ধারণ করেছে তাতে রয়েছে বড় ধরনের অসংগতি। গত ২৬ জুন গেজেট মূলে সিটি করপোরেশন, ঢাকা জেলা, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এবং সারাদেশ এভাবে ভাগ করে দলিল রেজিস্ট্রেশনের জন্য উৎসে কর নির্ধারণ করে দেয় এনবিআর। যেখানে ঢাকার গুলশান বনানী এলাকায় প্রতি কাঠা কমপক্ষে ২০ লাখ নির্ধারণ করে বিক্রয় মূল্যের ৮ শতাংশ ও ৬ শতাংশ হারে উৎসে কর নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।

এনবিআর ঢাকা সিটির মধ্যে প্রতি কাঠা একটা মিনিমাম উৎসে কর নির্ধারণ করে তবে উক্ত গেজেটের সংশোধন করে গত ৩ অক্টোবর নতুন গেজেট করে সেখানে ৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ শতাংশ উৎস কর নির্ধারণ করলেও যোগ করে দেয় কাঠাপ্রতি সর্বনিম্ন ট্যাক্স। বিপত্তি সেখানেই ঢাকার দোহার, নবাবগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ, ধামরাই এলাকার জমির মূল্য তালিকায় দেখা যায় বাগান/বাঁশঝাড় শ্রেণির জমির মূল্য কাঠাপ্রতি ১ হাজার বা শতাংশ প্রতি ৬৪০ টাকাও রয়েছে, নাল জমির মূল্য ১২ হাজার টাকা শতাংশ বা কাঠাপ্রতি ২০ হাজার টাকা ও রয়েছে। কিন্তু এই গেজেটের ফলে ২০ হাজার টাকার জমি বিক্রি করে বিক্রেতাকে ৫০ হাজার টাকা উৎস কর দিতে হবে, যেটা বাস্তবে অসম্ভব বলে বিভিন্ন সাবরেজিস্ট্রি অফিসে সাফকাবালা দলিল রেজিস্ট্রেশন বন্ধ রয়েছে। ফলে সরকার কোটি কোটি টাকা রেভিনিউ হারাচ্ছে। অথচ কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। তাই এই নোটিশ দেওয়া হলো। 

এমএইচডি/এসকেডি