ছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজের সাত শিক্ষকসহ নয় জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

জামিন পাওয়া আসামিরা হলেন, প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আ.ন.ম সামসুল আলম, সহকারী প্রধান শিক্ষক (দিবা শাখা) মো. নাসির উদ্দিন, সহকারী শিক্ষক- ফয়সাল শামীম, মোঃ আতিক, ফেরদৌসী সুমী, তরিকুল আজম খান,প্রিতীষ বিশ্বাস, সিকিউরিটি গার্ড- জিয়াউল হক জিয়া ও মাসুদ রানা।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালতে তারা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তাদের পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন। মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় তা বদলির আদেশ দেন।

এর আগে গত ২৩ অক্টোবর এ মামলায় পিবিআইয়ের দেয়া প্রতিবেদনের সাপেক্ষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী আসামিদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. আলাউদ্দিন বিষয়টি ঢাকাপোস্টকে জানিয়েছেন। 

গত ২২ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগী ছত্রের বাবা ও প্রতিষ্ঠানটির সাবেক গভর্নিং বডির সদস্য শফিকুর রহমান বাদী হয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। ঐদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন। 

মামলার আরজিতে বাদী বলেন, তিনি উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজ এর মাধ্যমিক শাখায় ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত গভর্নিং বডির নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। তার ছেলে তাইফুর রহমান (নাহিয়ান) ২০২২ সালে এই স্কুলের ৯ম শ্রোণী মানবিক (দিবা) শাখার ছাত্র ছিল।

গভর্নিং বডির অভিভাবক প্রতিনিধি থাকার সময়ে প্রতিষ্ঠানটির বাংলা মাধ্যম দিবা শাখার সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. নাসির উদ্দিনের (২ নং আসামি) সাময়িক বরখাস্ত এবং কুকির্তির বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন হলে সেই তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন বাদী। এসময় নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবুল হোসেনের বরাবর এক প্রতিবেদন দাখিল করেন তিনি। 

সেই থেকে আসামিরা বাদী ও তার সন্তানের প্রতি বিরূপ আচরণসহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছেন। কারণে অকারণে ক্লাসে দাঁড় করিয়ে রাখা এবং ছোট করে কথা বলাসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সামনে হেয় করে এবং বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। এক পর্যায়ে নাহিয়ান শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়লে তাকে হসপিটালে ভর্তি করানো হয়।

এনআর/এমএসএ