অসুস্থ যশোর যুবদল নেতা মধুকে হাসপাতালে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে এভাবেই চিকিৎসা দেওয়া হয় /ছবি : সংগৃহীত

অসুস্থ অবস্থায় ডান্ডাবেড়ি পরানো আলোচিত যশোর যুবদল নেতা মো. আমিনুর রহমান মধুকে সেখানকার কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা তিন মামলায় জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। আর কোনো মামলা না থাকায় তিনি মুক্তি পাবেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।

বুধবার বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দেন।

আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. মাকসুদ উল্লাহ।

এ বিষয়ে আইনজীবী মাকুসদ উল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমিনুর রহমান মধুর তিন মামলার তিনটিতেই আদালত জামিন দিয়েছেন। ফলে তার মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে মুক্তি দেওয়া হবে।

আমিনুর রহমান মধু ঢাকার বিএসএমএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বন্দি আছেন।

গত ৪ ডিসেম্বর হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ হৃদরোগে আক্রান্ত যশোর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মো. আমিনুর রহমান মধুকে ডান্ডাবেড়ি পরানো কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। একই সঙ্গে ডান্ডাবেড়ি ও হাতকড়া খুলে তাকে ১০ দিনের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। গত ৯ ডিসেম্বর থেকে তিনি বিএসএমএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

আদেশের বিষয়ে সেদিন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, হৃদরোগে আক্রান্ত যুবদলের সহ-সভাপতি মো. আমিনুর রহমান মধুকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে কারাগার থেকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। সবচেয়ে নির্মম হলো তার চিকিৎসা সমাপ্ত না করে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই যে নির্মমতা, এর বিরুদ্ধে আমরা হাইকোর্টে আবেদন করি।

উল্লেখ্য, বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আমিনুর রহমান মধুকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়ার ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে এ বিষয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়।

এমএইচডি/এসকেডি