বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে পল্টন ও রমনা থানার পৃথক ৯ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলেও জামিন শুনানি হয়নি।

বৃহস্পতিবার ঢাকার পৃথক দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত শুনানি শেষে তাকে গ্রেপ্তার দেখান। পরবর্তীতে বেলা ৩টার দিকে এসব মামলায় জামিন শুনানির জন্য সময় নির্ধারণ থাকলেও নথি পর্যালোচনায় বিচারক শুনানি গ্রহণ করেননি। 

মির্জা আব্বাসের আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী জানান, আজ দুটি ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট মির্জা আব্বাসের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন। তবে আদেশের কপি নির্ধারিত কোর্টে না থাকায় পরবর্তীতে জামিন শুনানি গ্রহণ করেননি আদালত। 

এদিন কারাগার থেকে মির্জা আব্বাসকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত পল্টন থানার পাঁচ মামলায় এবং ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত রমনা মডেল থানার চার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

গত ২৪ জানুয়ারি এসব মামলায় মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার দেখানো এবং জামিন শুনানির জন্য আবেদন করেন তার আইনজীবী। 

গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়। এর মধ্যে শাহজাহানপুর থানার নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৩১ অক্টোবর রাতে ঢাকার শহীদবাগ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে এ মামলায় গত ১ নভেম্বর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ৫ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর আজ পল্টন থানার পুলিশ কনস্টেবল হত্যাসহ পাঁচ মামলা, রমনা থানায় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলাসহ চার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোসহ জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল।

এনআর/এমজে