আপত্তিকর ছবি প্রকাশ: সাংবাদিকসহ দুজনকে অব্যাহতির আবেদন
চিফ ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজের এক উপস্থাপিকার আপত্তিকর ছবি প্রকাশের অভিযোগে পর্নোগ্রাফি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া মামলায় টেলিভিশনটির জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ইমরান হোসেন সুমনসহ দুইজনের অব্যাহতি চেয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে ডিবি। অপরজন হলেন, তেজগাঁও ফুয়াং ক্লাবের রিসিপশনিস্ট চঞ্চল পালমা।
গত ২৭ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির সোশ্যাল মিডিয়া ক্রাইম অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন টিমের পরিদর্শক কাজী মো. নাসিরুল আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) পল্লবী থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আদালত আগামী ২৫ জানুয়ারি মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, আসামি ইমরান হোসেন সুমন ও বাদী একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তাদের মধ্যে অত্যন্ত সুসম্পর্ক ছিল। কিন্তু কোনো এক কুচক্রী মহল তা ভালো ভাবে নেয়নি। বিরোধ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ওই মহল বাদীর স্বামীর ফেসবুকে বিভিন্ন অপরিচিত ফেসবুক আইডি থেকে আপত্তিকর ও অশ্লীল মেসেজ দিয়ে খারাপ মন্তব্য করতো। অজ্ঞাত কুচক্রী মহলটির ফাঁদে পা দিয়ে বাদী মামলাটি করেন।
বিজ্ঞাপন
আসামি ইমরান হোসেন সুমন ও চঞ্চল পালমার পরস্পর যোগসাজশে ভুয়া ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে বাদীর নামে অশ্লীল মন্তব্য ও আপত্তিকর ছবি প্রচারের কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে জানান তদন্ত কর্মকর্তা।
গত ১২ জুলাই আপত্তিকর ও অশ্লীল ছবি প্রকাশের অভিযোগে ওই উপস্থাপিকা পর্নোগ্রাফি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২০ সালের ২৩ মে ওই উপস্থাপিকার স্বামীর ফেসবুক মেসেঞ্জারে বিভিন্ন আইডি থেকে আপত্তিকর মেসেজ পাঠিয়ে তার বিষয়ে খারাপ মন্তব্য করে। যা দেখে তার স্বামীর মন-মানসিকতা খারাপ হয়ে যায়। একপর্যায়ে তার স্বামী বিষয়গুলো শেয়ার করেন। পরে ওই উপস্থাপিকা মিরপুর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। তারপর অজ্ঞাত আসামিরা হোয়াটস অ্যাপ ব্যবহার করে তার স্বামী, দেবর, মাকে বিভিন্ন আপত্তিকর মেসেজ ও ছবি পাঠাতে থাকে।
টিএইচ/এসআরএস