সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল এবং সাবেক কার্যকরী সদস্য ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরীকে গ্রেপ্তারে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবি পার্টি লইয়ার্স।

রোববার (১০ মার্চ) এক যৌথ বিবৃতিতে এবি পার্টি লইয়ার্সের আহ্বায়ক অ্যাড. তাজুল ইসলাম এবং সদস্য সচিব ব্যারিস্টার যুবায়ের আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, ডামি ভোটের সরকার ক্রমেই অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে। সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনে কারচুপি এবং বিরোধী দলীয় আইনজীবী নেতাদের উপর দমন-নিপীড়ন চালানোর ঘটনায় তাদের তস্কর চরিত্র আরেক দফা প্রমাণিত হয়েছে। 

বিবৃতিতে তারা বলেন, চলতি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের দুপক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে মারামারির ঘটনায় সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল এবং ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরীকে হয়রানিমূলক মামলায় আসামি করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের বিতর্কিত ভূমিকা, আইনজীবীদের উপর হামলা এবং এই গ্রেপ্তারের ঘটনায় আইনজীবী সমাজের পেশাগত মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত হয়েছে, আদালত প্রাঙ্গণে হিংসা চর্চার নজির স্থাপিত হয়েছে।

ঢাকা বারের আইনজীবী সমিতির নির্বাচনেও একইভাবে ব্যাপক কারচুপির ঘটনা ঘটেছে উল্লেখ করে তারা আরো বলেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের আগে অনুষ্ঠিত বারের নির্বাচনেও ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনে নীল প্যানেলের সদস্যদের মারধর করা হয়েছে। এমনকি ভোটারদের ভয় দেখিয়ে সাদা প্যানেলের প্রার্থীদের ভোট দিতে বাধ্য করা হয়েছে। ভোট ডাকাতির মাধ্যমে সাদা প্যানেলের নিরঙ্কুশ বিজয় ঘোষণা করা হয়েছে।

তারা বলেন, আওয়ামী লীগের শ্রেণি চরিত্র অনুযায়ী আসন্ন বার কাউন্সিল নির্বাচনও সুষ্ঠু হওয়ার কোনো সম্ভবনা নেই। নির্বাচন নামের ব্যবস্থাটি ফ্যাসিবাদী সরকারে কাছে  জলাতঙ্ক রূপে দেখা দিয়েছে। এই ডামি সরকারের আমলে সব সাংবিধানিক, সরকারি, আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হওয়া ব্যতীত সংস্কার বা পুনর্গঠনের কোনো সম্ভাবনা নেই।

বিবৃতিতে তারা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে মারামারি ও আওয়ামী সমর্থিত প্যানেলের ভোট কারচুপির ঘটনায় ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল এবং ওসমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছেন।

আরএইচটি/পিএইচ