ট্রান্সকম গ্রুপের শীর্ষ তিন কর্তাকে নির্বিঘ্নে দেশে ফেরার সুযোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। দেশে ফিরে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। এই তিন কর্মকর্তা হলেন, গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান শাহনাজ রহমান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমান ও হেড অব ট্রান্সফরমেশন যারেফ আয়াত হোসেন।

রোববার (৩১ মার্চ) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে ট্রান্সকম গ্রুপের শীর্ষ তিন কর্তার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন, অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী, অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।

ট্রান্সকম গ্রুপের শীর্ষ তিন কর্তা যাতে নির্বিঘ্নে দেশে ফিরে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে গত ২১ মার্চ নির্দেশ দেন আদালত। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।

হাইকোর্টের এক আদেশের বিরুদ্ধে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে ওই আদেশ সংশোধন করে গতকাল চেম্বার আদালত এ আদেশ দেন। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আবেদনটি করেন ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত লতিফুর রহমানের ছোট মেয়ে শাযরেহ হক। আর সিমিন রহমান হলেন লতিফুর রহমানের বড় মেয়ে। পরে তাদের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়।

আইনজীবীদের তথ্যমতে, ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহনাজ রহমান, সিইও সিমিন রহমান ও হেড অব ট্রান্সফরমেশন যারেফ আয়াত হোসেন দেশের বাইরে রয়েছেন। পৃথক মামলা থাকায় তারা যাতে দেশে ফিরে কোনো ধরনের বাধা ছাড়া আদালতে আত্মসমর্পণ করতে পারেন, সে বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে তাদের পক্ষে হাইকোর্টে রিট করা হয়। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ২০ মার্চ একটি দ্বৈত বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন। ট্রান্সকম গ্রুপের শীর্ষ এই তিন কর্তা যাতে কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়া নির্বিঘ্নে ৬০ দিনের মধ্যে আদালতের আত্মসমর্পণ করতে পারেন; সে বিষয়ে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এই আদেশ স্থগিত চেয়ে শাযরেহ হক আপিল বিভাগে আবেদন করেন।

এর আগে শাযরেহ হক বাদী হয়ে গুলশান থানায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি তিনটি মামলা করেন। এসব মামলায় কোম্পানির শেয়ার ও অর্থসম্পদ নিয়ে প্রতারণামূলক বিশ্বাস ভঙ্গ এবং জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে। তিন মামলায় মোট আটজনকে আসামি করা হয়েছে।

এমএইচডি/এসএম