হত্যাসহ তিন মামলায় ট্রান্সকমের ৮ কর্মকর্তার জামিন
হত্যা, অর্থ আত্মসাৎ, সম্পত্তি দখল এবং অবৈধভাবে কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তর করার অভিযোগে দায়ের হওয়া আলাদা তিন মামলায় ট্রান্সকম গ্রুপের আট কর্মকর্তার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (৩ জুন) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এসব মামলায় আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। এরপর তারা বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত তাদের জামিন বর্ধিত করে পূর্ণাঙ্গ জামিন শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য রাখেন। এ দিন পূর্ণাঙ্গ জামিন শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিন পাওয়া আসামিরা হলেন, এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ম্যানেজার ডা. মুরাদ, ডিরেক্টর (মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস) ডা. মো. মুজাহিদুল ইসলাম, গ্রুপের পরিচালক (কর্পোরেট ফাইন্যান্স) কামরুল হাসান, কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন, গ্রুপের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স সেলিনা সুলতানা, ম্যানেজার (কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স) কেএইচ মো. শাহাদত হোসেন, গ্রুপটির কর্মচারী রফিক ও মিরাজুল।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত লতিফুর রহমানের ছোট মেয়ে শাযরেহ হক গ্রুপের আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঢাকার গুলশান থানায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি তিনটি মামলা দায়ের করেন।
এছাড়া, গত ২২ মার্চ তিনি তার বড় বোন সিমিন রহমানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, সিমিন রহমানসহ বাকি আসামিরা তার বড় ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে বিষ প্রয়োগ/শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন। আরশাদ ওয়ালিউর রহমান গত বছরের ১৬ জুন রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যান।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন, ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমানের ছেলে যারাইফ আয়াত হোসেন, এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ম্যানেজার ডা. মুরাদ, ডিরেক্টর (মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস) ডা. মো. মুজাহিদুল ইসলাম, কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স (আইন) মো. ফখরুজ্জামান ভুঁইয়া, গ্রুপের পরিচালক (কর্পোরেট ফাইন্যান্স) কামরুল হাসান, কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন, গ্রুপের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স সেলিনা সুলতানা, ম্যানেজার (কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স) কেএইচ মো. শাহাদত হোসেন, গ্রুপটির কর্মচারী রফিক ও মিরাজুল।
এনআর/কেএ