বাড্ডায় মনজিল হত্যা : সৎমা-ভাইসহ ৬ জনের যুক্তি উপস্থাপন পেছাল
রাজধানীর আফতাবনগরে নিজ ফ্ল্যাটে ‘ও’ লেভেলে পড়ুয়া ছাত্র একেএম মনজিল হক হত্যা মামলায় সৎমা লায়লা ইয়াসমিন লিপি ও সৎভাই একেএম ইয়াসিন হকসহ ছয়জনের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুনানি পিছিয়ে আগামী ৯ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, মনজিলের সৎ মামা আবু ইউসুফ নয়ন, মামলার বাদী চাচা ফারুক মিয়া, রবিউল ইসলাম সিয়াম ও সিমান্ত হোসেন তাকবীর। মাহফুজুল ইসলাম অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তার বিচার শিশু আদালতে চলছে। আসামিদের মধ্যে ইয়াসিন ও সিয়াম কারাগারে এবং তাকবীর জামিনে রয়েছেন। অন্য তিন আসামি শুরু থেকেই পলাতক।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (৪ জুন) মামলাটিতে আসামিদের পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এ দিন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান পরবর্তী শুনানির জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
এর আগে, গত ৩০ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওইদিন সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করা হয়। মামলাটিতে ৪২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।
২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর রাজধানী বাড্ডার আফতাবনগরে নিজ ফ্ল্যাটে হত্যার শিকার হন ও লেভেল পড়ুয়া মনজিল হক (২৮)। হত্যার পর চাচা ফারুক মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে মামলা করেন।
পরবর্তী সময়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) তদন্তে উঠে আসে যে, সৎমা লায়লা ইয়াসমিন লিপি, সৎ মামা আবু ইউসুফ নয়ন ও সৎভাই একেএম ইয়াসিন হক (২৫) ও মামলার বাদী চাচা ফারুক মিয়া (৫৮) হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা। সম্পত্তির লোভে তারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটান।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাদী ফারুক ও নিহত মনজিলের বাবা মইনুল হক মনা আপন ভাই। তারা একই সঙ্গে গার্মেন্টসের ব্যবসা করতেন। শান্তিনগর বাজারের পেছনে মনার ছেলে মনজিল ও ইয়াসিন এবং ফারুকের ছেলে একেএম নেওয়াজের যৌথ নামে একটি ফ্ল্যাট ছিল। কিন্তু মনা ওই ফ্ল্যাটটি তার ছেলেদের দিয়ে দলিল করিয়ে বিক্রি করে দেন। এ নিয়ে মনার সঙ্গে ফারুকের দ্বন্দ্ব ছিল। মনা মারা যাওয়ার পর সেই ক্ষোভ তার ছেলে মনজিলের ওপর ছিল। ওই ক্ষোভ থেকেই মনজিলকে হত্যার পরিকল্পনায় ইয়াসিনের সঙ্গে চাচা ফারুকও যোগ দেন।
তদন্ত শেষে, ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডির পরিদর্শক মো. শামসুদ্দিন।
এনআর/কেএ