কাউন্সিলর আতিকুরের ৪টি বাড়ি ক্রোকের আদেশ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের তারাব পৌরসভার কাউন্সিলর আতিকুর রহমানের ৪টি বাড়ি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

রোববার (৭ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

দুদক জানায়, তারাবতে আতিকুরের ৩৮ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত চারতলা বাড়ি, চার শতক জমির ওপর নির্মিত চারতলা ও সাড়ে সাত শতক জমির ওপর নির্মিত ছয়তলা বাড়ি রয়েছে। এছাড়া তারাবতে ৫ শতক জমির ওপর আতিকুরের আরেকটি টিনশেড বাড়ি রয়েছে।

এদিন দুদকের পক্ষ থেকে আতিকুরের বাড়ি ও জমির তালিকা তুলে ধরে সেগুলো ক্রোক করার আবেদন করা হয়। আদালত দুদকের আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০১৭ সালে তারাব পৌরসভায় আতিকুর ২৮ শতক জমি কেনেন। ২০১৮ সালে তিনি তারাব এলাকায় আরও চার শতক জমি কেনেন। একই বছর আতিকুর আরও দেড় শতক জমি কেনেন। আতিকুর রহমান ২০১৫ সালে প্রথম কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এরপর তিনি আরও একবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। ২০২০ সালে তারাব পৌরসভার কাউন্সিলর আতিকুরের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের বিষয়টি অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। দুদকের অনুসন্ধানে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর ২০২১ সালে কাউন্সিলর আতিকুরকে তার সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার জন্য নোটিশ দেয় দুদক।

পরে দুদক কার্যালয়ে তিনি সম্পদের বিবরণী জমা দেন। আতিকুরের সম্পদ বিবরণীর তথ্য পর্যালোচনা করে দুদক জানতে পারে, আতিকুর স্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন ৩ কোটি ৬১ লাখ টাকার। আর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ উল্লেখ করেন ৮ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। তবে দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে, কাউন্সিলর আতিকুরের স্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকার। আর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৮০ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে তার সম্পদের পরিমাণ ৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকার।

অনুসন্ধানে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর গত ১৪ মার্চ কাউন্সিলর আতিকুরের রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আতিকুরের গ্রহণযোগ্য বৈধ আয় ৪০ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। তার ঋণের পরিমাণ ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ ৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।

এনআর/পিএইচ