মীর নাছির

দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত বিএনপির নেতা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের জামিন আবেদনের ওপর আপিল বিভাগের আদেশ আজ।

রোববার (৩ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে মীর নাছিরের জামিন আবেদেনের শুনানি শেষে আদেশ দেওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে ১৩ ডিসেম্বর  দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত বিএনপি নেতা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের জামিন আবেদনের শুনানি আজকের দিন (৩ জানুয়ারি) পর্যন্ত মুলতবি করেছিলেন আপিল বিভাগ।

আদালতে মীর নাছিরের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। 

গত ৮ নভেম্বর মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২-এর বিচারক এ এস এম রুহুল ইমরান তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

দুর্নীতির মামলায় মীর নাছিরকে বিচারিক আদালতের দেওয়া ১৩ বছরের কারাদণ্ড এবং তার ছেলে মীর হেলালকে দেওয়া ৩ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে গত বছরের ১৯ নভেম্বর রায় দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এ রায় বিচারিক আদালতে পৌঁছার তিন মাসের মধ্যে তাদের সেখানে (বিচারিক আদালত) আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়।

মীর নাছির ও মীর হেলাল আপিল বিভাগে আত্মসমর্পণ করে লিভ টু আপিল করেছিলেনে। একইসঙ্গে জামিন চেয়েছিলেন।

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মীর নাছির ও তার ছেলে মীর হেলালের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর গুলশান থানায় দুদক মামলা করে। এ মামলায় বিশেষ জজ আদালত মীর নাছিরকে ১৩ বছর ও মীর হেলালকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন। বিচারিক আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে মীর নাছির ও মীর হেলাল হাইকোর্টে পৃথক আপিল করেন। ২০১০ সালের আগস্টে হাইকোর্ট মীর নাছির ও মীর হেলালের সাজা বাতিল করে রায় দেন। হাইকোর্টের রায় বাতিল চেয়ে আপিল আবেদন করে দুদক। শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের ৩ জুলাই আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করেন। একই সঙ্গে বিচারিক আদালতের সাজার বিরুদ্ধে বাবা-ছেলের করা পৃথক আপিল হাইকোর্টে পুনরায় শুনানির নির্দেশ দেন। শুনানি শেষে গত বছরের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন।

এমএইচডি/এসএম