র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার এরফান সেলিম/ ফাইল ছবি

মাদক মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে এরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। পরবর্তী প্রতিবেদনের জন্য আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে।

রোববার (৩ জানুয়ারি) মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এ দিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন প্রতিবেদন জমা দেয়ায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমান নতুন এ দিন ঠিক করেন।

উল্লেখ্য, গত ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে স্ত্রীসহ গন্তব্যে যাচ্ছিলেন। এ সময় হাজী সেলিমের ছেলে ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরফান সেলিমের গাড়িটি তাকে ধাক্কা মারে। এরপর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়িতে এরফানের সঙ্গে থাকা সহযোগীরা নেমে একসঙ্গে তাকে কিল-ঘুষি মারেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।

এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর সকালে এরফান সেলিম, তার বডিগার্ড মো. জাহিদুল মোল্লা, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন।

ওইদিন দুপুরে পুরান ঢাকার চকবাজারের হাজী সেলিমের বাসায় অভিযান চালায় র‍্যাব। সেখান থেকে ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে হেফাজতে নেয়। বাসায় অবৈধভাবে মদ ও ওয়াকিটকি রাখার দায়ে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের দুজনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন।

এরপর পরের দিন (২৭ অক্টোবর) র‌্যাব-৩ এর ডিএডি কাইয়ুম ইসলাম চকবাজার থানায় এরফান সেলিম ও দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের পৃথক চারটি মামলা করেন। ৮ নভেম্বর অস্ত্র মামলায় তাদের তিন দিন এবং মাদক মামলায় দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। এর আগে ১ নভেম্বর তাদের দুদিনের রিমান্ড করা হয়েছে। 

উল্লেখ্য, ইরফান সেলিম ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। ২৭ অক্টোবর তাকে কাউন্সিলরের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। 

টিএইচ/এফআর