যাত্রাবাড়ীতে পুলিশ হত্যা : যুবদল কর্মী ইরফানের দোষ স্বীকার
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পুলিশ সদস্য গিয়াস উদ্দিন হত্যা মামলায় যুবদল কর্মী ইরফান ওরফে রোমান স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
শুক্রবার (২ আগস্ট) তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ মামলায় তিনি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা অনুযায়ী স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মুরাদুল ইসলাম তা রেকর্ডের আবেদন করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রশিদুল আলমের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বিজ্ঞাপন
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ পুলিশের নায়েক গিয়াস উদ্দিন (৫৮), পরিবারসহ মাতুয়াইল মাতৃসদন হাসপাতালের বিপরীত পাশে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। গত ১৯ জুলাই রাত্রী আনুমানিক ৯টার গণভবনে সরকারি ডিউটি পালনের উদ্দেশে তার ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল যোগে বাসা থেকে বের হন। যাত্রাবাড়ী থানাধীন রায়েরবাগ ফুটওভার ব্রিজের উত্তর পাশে আসা মাত্রই সাড়ে ৯টার দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতারা বর্তমান সরকারকে উৎখাত করার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটিয়ে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে বিএনপি ও জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে উল্লিখিত আসামিরাসহ অজ্ঞাতনামা আরও অনেকে প্ররোচনা ও নির্দেশনায় পরস্পর যোগসাজশে পুলিশ পরিচয় নিশ্চিত হয়ে দেশে নাশকতা সৃষ্টির অংশ হিসেবে তাকে আটক করে। এরপর তাকে ধারালো অস্ত্রের মাধ্যমে হত্যার উদ্দেশে মাথায় মারাত্মক জখম করে।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
আরও বলা হয়, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রাস্তায় পড়ে গেলে আসামিরা রড, লাঠি দিয়ে পুলিশ সদস্য গিয়াস উদ্দিনের নাক-কান, মুখমণ্ডল, গলা ও হাত, বুক, পেট, ডান পায়ের হাটুর নিচে গোড়ালির নিচেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি আঘাত করে ঘটনাস্থলে নির্মমভাবে হত্যা করে। এরপর তাকে রশি দিয়ে ফুটওভার ব্রিজের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। মৃত্যুর পর মরদেহ নিয়ে আসামিরা পৈশাচিক আনন্দে মেতে ওঠে এবং মরদেহ গুম করার লক্ষ্যে উলঙ্গ করে মরদেহ আগুন লাগিয়ে পোড়ানোর চেষ্টা করে।
এ ঘটনায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় গত ২৪ জুলাই নিহতের ভগ্নিপতি ফজল প্রধান মামলা দায়ের করেন।
এনআর/এসএসএইচ