দিনে ৪৫০ গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষার কেন্দ্র স্থাপন শেষ হবে জুলাইয়ে

গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষার কেন্দ্র স্থাপন বিষয়ে হাইকোর্টে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিদিন সাড়ে ৩০০ থেকে সাড়ে ৪০০ মোটরযান পরীক্ষার ক্ষমতাসম্পন্ন ফিটনেস টেস্টিং সেন্টার স্থাপনের কাজ আগামী জুলাই মাসে শেষ হবে।

রোববার (৩ জানুয়ারি) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

বিআরটিএ-এর পরিচালক (অপারেশন) শীতাংশু শেখর বিশ্বাস স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, মিরপুর এলাকায় ১২ লেন বিশিষ্ট অটোমেটিক ভেহিক্যাল ইন্সপেকশন সেন্টারের কাজ চলমান রয়েছে। এটি সম্পন্ন হলে আগামী জুলাই মাস থেকে অটোমেটিক ভেহিক্যাল ইন্সপেকশন সেন্টারের মাধ্যমে ঢাকা মিরপুর সার্কেল-১ অফিস থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩৫০ থেকে ৪৫০টি মোটরযানের ফিটনেস পরীক্ষা সম্ভব হবে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ। বিআরটিএ-এর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রাফিউল ইসলাম।

এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর ফিটনেসবিহীন গাড়ি সড়কে চলছে কি না- তা পর্যবেক্ষণের জন্য দেশে যানবাহন ফিটনেস পরীক্ষা কেন্দ্র বাড়ানোর জন্য নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিআরটিএকে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।

সেদিন আইনজীবী তানভীর আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের সড়কে প্রায় ৪০ লাখ গাড়ি চলাচল করে। সড়কগুলোতে কী ধরনের গাড়ি চলছে তা পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশে ফিটনেস পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা অপ্রতুল। বিষয়টি আদালতে আমি তুলে ধরি। পরে আদালত উপরোক্ত আদেশ দেন।

২০১৮ সালের ৩১ জুলাই সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ফিটেনেসবিহীন যান চলাচল বন্ধে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং ফিটনেসবিহীন যান চলাচল বন্ধে গণপরিবহনের ফিটনেস নিশ্চয়তা ও নজরদারিতে বিবাদীদের ব্যর্থতাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র সচিব, সড়ক পরিবহন ও সেতু সচিব, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ সড়ক নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক, বিআরটিএ’র এনফোর্সেমেন্ট বিভাগের পরিচালক ও পুলিশ মহাপরিদর্শককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেন। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে যানবাহনের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক ফিটনেস জরিপে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ২০১৮ সালের জুলাই বিআরটিএ’র চেয়ারম্যানকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশে ১০ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে যানবাহনের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক ফিটনেস জরিপে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানাতে বলা হয়। নোটিশের জবাব না পেয়ে ২৬ জুলাই রিট আবেদন করা হয়।

এমএইচডি/এফআর