বেড়াতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ, ছেলে বন্ধুসহ কারাগারে ৪ জন
ঢাকার কেরানীগঞ্জে ঈদের কেনাকাটা করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন দুই কিশোরী। পরে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ভুক্তভোগী এক কিশোরীর ছেলে বন্ধু আশিকসহ চারজনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। অপর আসামিরা হলেন- আপু, রিফাত ও ফাহিম।
রোববার (১৬ মে) ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহাজাদী তাহমিদা এ আদেশ দেন। আদালতে সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
সূত্র জানায়, এদিন (রোববার) দুই দিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করেন তদন্ত কর্মকর্তা। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তিনি। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ১২ মে তিন দিনের রিমান্ড শেষে তাদের চারজনকে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা আরেক মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে প্রত্যেক আসামির বিরুদ্ধে পাঁচ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হোসেন প্রত্যেকের বিরুদ্ধে দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বিজ্ঞাপন
অপরদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় করা অপর মামলায় রিফাত ও অপু দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহজাদী তাহমিদা তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এর আগে ৯ মে চার আসামিকে তিন দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী দুই কিশোরীর মধ্যে একজনের বয়স ১৮ বছর এবং অন্যজনের বয়স ১৭। দুজনই পরস্পরের বান্ধবী। গত ৭ মে সন্ধ্যার পর তারা কেরানীগঞ্জের আবদুল্লাহপুর এলাকার মার্কেটে ঈদের কেনাকাটা করতে যান। বিষয়টি তাদের একজনের (১৮) ছেলে বন্ধু আশিক জানতে পারেন। পরে আশিক আবদুল্লাহপুর এলাকায় গিয়ে তাদের সঙ্গে দেখা করেন এবং বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে দুজনকে রাজাবাড়ির নির্জন স্থানের একটি ছাপরায় নিয়ে যান। সেখানে আশিকের আরও আট বন্ধু উপস্থিত ছিলেন। একপর্যায়ে তারা দুই কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।
ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভুক্তভোগী দুই কিশোরী দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন।
টিএইচ/এমএআর