পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) সাবেক রিপোর্টার মো. শামসুল হক রাজু ওরফে রাজু আহমেদের গাড়ি ক্রোক করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। গাড়িটির বাজার মূল্য ২৪ লাখ টাকা।

সোমবার (৫ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

এদিন দুদকের উপসহকারী পরিচালক আহাম্মেদ আশরাফ চৌধুরী গাড়ি জব্দ চেয়ে এ আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, রাজু আহমেদের বিরুদ্ধে দুই কোটি তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপনপূর্বক কমিশনে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান এবং জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসংগতিপূর্ণ নিজ নামে, স্ত্রী ও তার ওপর নির্ভরশীল সন্তানদের নামে তিন কোটি ৪২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনপূর্বক তা দখলে রাখার ঘটনায় মামলা রুজু করা হয়। তদন্তকালে আসামি রাজু আহমেদের অপরাধলব্ধ অর্থ দিয়ে তার নিজ ও স্ত্রী-সন্তানদের নামে অর্জিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদসমূহ বিক্রয়/হস্তান্তর বা বেহাত করার সম্ভাবনা রয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামি ও তার স্ত্রী-সন্তানদের মালিকানাধীন স্থাবর সম্পদসমূহ ক্রোক (জব্দ) এবং অস্থাবর সম্পদসমূহ ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। পরে আদালত আসামি রাজু আহমেদের স্থাবর সম্পদ ক্রোক এবং অস্থাবর সম্পদ ফ্রিজ করার আদেশ প্রদান করেন।

আদালতের আদেশ অনুযায়ী জব্দ করা স্থাবর সম্পদ এবং অবরুদ্ধকৃত অস্থাবর সম্পদের সঠিক নিয়ন্ত্রণ, ব্যবস্থাপনা, তদারকি এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রিসিভার নিয়োগের জন্য পুনরায় আবেদন করা হয়। পরে আসামির জব্দ এবং অবরুদ্ধকৃত সম্পদের সঠিক নিয়ন্ত্রণ, ব্যবস্থাপনা, তদারকি এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রিসিভার নিয়োগের আদেশ প্রদান করেন। আসামি তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীর অস্থাবর সম্পদ অংশে গাড়ি নং ঢাকা মেট্রো-ঘ-৩৫৩৭০৭ উল্লেখ করেছিলেন। আসামি কর্তৃক দাখিলকৃত এ সম্পদ বিবরণীর আলোকে স্থাবর সম্পদসমূহ জব্দ ও অস্থাবর সম্পদসমূহ অবরুদ্ধ করার আবেদনে গাড়ি নং ঢাকা মেট্রো-ঘ-৩৫৩৭০৭ উল্লেখ করা হয়। তবে অধিকতর তদন্তে দেখা যায় যে, আসামি মো. শামসুল হক রাজু ওরফে রাজু আহমেদ এর গাড়ির নাম্বার হচ্ছে ঢাকা মেট্রো-গ-৩৫৩৭০৭। অর্থাৎ আসামি রাজু আহমেদ তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে গাড়ির নাম্বার ভুল দিয়ে কমিশনে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান করে কমিশন ও তদন্তকারী কর্মকর্তাকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করেছেন।

এনআর/এমএ