অনলাইন কজলিস্ট : প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ একদল আইনজীবী
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগে মেনশনের সময় প্রিন্টেড কজলিস্টের পাশাপাশি ইলেকট্রনিক ডিভাইস (যথা- মোবাইল বা ট্যাব) এর মাধ্যমে কজলিস্ট ব্যবহার করে মেনশন করার অনুমতি চেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের ২৯ জন তরুণ আইনজীবী।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) প্রধান বিচারপতির কাছে করা আবেদনে তারা উল্লেখ করেছেন, বর্তমান সময়ে আইনজীবীর তুলনায় কজলিস্ট ছাপানো হচ্ছে কম। সুতরাং সিংহ ভাগ সুপ্রিম কোর্টের সাধারণ আইনজীবী তাদের সাথে কজলিস্ট বহন করতে পারেন না। তারা কজলিস্ট পাওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্যের সম্মুখীন হচ্ছেন। তাই মেনশন এর সময় কজলিস্ট নিয়ে বিড়ম্বনার সম্মুখীন হন সাধারণ আইনজীবীবৃন্দ।
বিজ্ঞাপন
এছাড়া তথ্য প্রযুক্তির বর্তমান সময়ে আইনজীবীরা প্রিন্টেড কজলিস্ট ব্যবহারের চেয়ে অনলাইনে কজলিস্ট অবলোকন করে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন। বর্তমান সময়ে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ এর বিভিন্ন বেঞ্চ ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারে মনোযোগীও হয়েছেন। সুতরাং মেনশন এর সময় প্রিন্টেড কজলিস্ট ব্যবহার এর পাশাপাশি যাতে করে ইলেকট্রনিক ডিভাইসে কজলিস্ট ব্যবহার করে মেনশন করা যায় সেই বিষয়ে প্রধান বিচারপতির কাছে সঠিক দিকনির্দেশনার প্রার্থনা করেছেন।
আবেদনে স্বাক্ষরকারী আইনজীবীবৃন্দ বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের প্রত্যেকটি বেঞ্চের ডেস্কে স্ব স্ব বেঞ্চের কজলিস্ট সংযুক্তিকরণ করলে সাধারণ আইনজীবীবৃন্দ উপকৃত হবেন।
বিজ্ঞাপন
আবেদনে সাধারণ আইনজীবীদের পক্ষে স্বাক্ষর করেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল আশিক, মো. আবু বকর ছিদ্দিক, মো. নেওয়াজ শরীফ ভূইয়া, মো. তৌহিদ রহমান, মো. জোবায়ের আল মামুন, শেখ মো. শামছুজ্জামান, মো. সোহেবুজ্জামান, রোকনুজ্জামান, এড. মো ওবাইদ্যুল্লাহ আল মামুন সাকিব, মোহাম্মদ আলী হাসান, আলমগীর হোসেন, মোহাম্মদ শাহীন হাওলাদার, সুব্রত মন্ডল, আরফান সুলতানা, সোহেল চৌধুরী, সৈয়দ আকবর হোসেন, সায়কা জাহান সাথী, আবু শাহেদ, মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন, মো. ফিরোজ হাওলাদার, মো. মহিউদ্দিন, মো. আল কাইয়ুম, ফরিদ আহমেদ, মো. আল-মামুন, মো. মোর্শেদ ইসলাম, মো. আরিফ চৌধুরী, মো. মোস্তাফিজুর রহমান (জিকো), মো. মিরাজ আকন, আশিক-ই-এলাহী ভূঁইয়া।
এমএইচডি/এমএ