ঈদের ছুটিতে চুরি : গ্রেপ্তার দুই আসামি রিমান্ডে
ঈদের ছুটিতে বাসার মালিক গ্রামে যাওয়ায় দরজা ভেঙে স্বর্ণের অলংকারসহ চার লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে গেছে পেশাদার চোর চক্র। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই চোরের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১০ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্রের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- মো. আপন হোসেন ও মো. ইয়াছিন হোসেন শিপন।
বিজ্ঞাপন
এদিন তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আলী আশরাফ জুয়েল তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী পেশায় একজন গৃহিণী। গেন্ডারিয়া থানাধীন দ্বীননাথ সেন রোডে তার একটি নিজস্ব ৫ তলা ভবন রয়েছে। তিনি ওই ভবনের ৩য় তলায় বসবাস করেন। গত ৬ জুন বিকেলে তার বাসার দরজায় তালা লাগিয়ে সপরিবারে গ্রামে বাড়ি শরীয়তপুরে ঈদ উদযাপন করার জন্য যান। গত ৯ জুন সন্ধ্যা ৭টার দিকে গ্রামে বাড়ি ঈদ উদযাপন শেষে বাসায় ফেরেন। তখন তিনি বাসার মেইন দরজা ভাঙা দেখতে পান। ঘরে প্রবেশ করে দেখেন, ঘরের আসবাবপত্র এলোমেলো ও আলমারি খোলা। তখন তিনি দেখেন তাদের বাসায় থাকা এইচপি কোরআই-৫ ল্যাপটপ, হাতঘড়ি, নগদ টাকা, স্বর্ণের দুল তিন জোড়া, দুটি স্বর্ণের আংটি, সনি ৪৩ ইঞ্চি টিভি চুরি হয়ে গেছে। যার সর্বমোট চোরাই মূল্য চার লাখ ৩৩ হাজার ৬২৫ টাকা। পরে বিষয়টি বাসার অন্যান্য ভাড়াটিয়া ও স্থানীয় লোকজনের সাথে আলোচনা করেন। বাসার আশপাশের সিসি ক্যামেরা যাচাই করে দেখেন, ৮ জুন রাত ৩টা ৫২ মিনিট থেকে ৩টা ৫৪ মিনিটে আসামিরা টিভিসহ বের হয়ে যাচ্ছেন। পরে আসামি আপন হোসেন ও ইয়াছিন হোসেনকে শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাদের আটকের চেষ্টা করা হয়। তবে তারা পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয় জনগণ ৯ জুন রাত ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে আটক করে। পরবর্তীতে থানা পুলিশের কাছে তাদের সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানায় মামলা করেন।
বিজ্ঞাপন
এনআর/এমএ