ফাইল ছবি

সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে গ্রেপ্তারের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বর্তমান প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদকে খোলা চিঠি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক এস এম মাসুম বিল্লাহ।

সোমবার (৪ আগস্ট) বিষয়টি আইনজীবী জেড আই পান্না নিশ্চিত করেছেন।

চিঠিতে তারা সাবেক প্রধান বিচারপতিকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারের এ ঘটনাকে দেশের বিচারিক সংস্কৃতির জন্য একটি অশনি সংকেত ও কলঙ্কের তিলক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

এতে বলা হয়েছে, মানবিক অভিজ্ঞান বলে যে, এটি আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ ন্যায়পরিচালন ব্যবস্থার জন্য একটি অশনি সংকেত হয়ে দেখা দেবে।

চিঠিতে তারা বলেন, সহ-বিচারকদের সহযোগে শুদ্ধ রায় দেওয়ার কারণে বা এর সঙ্গে আনুষঙ্গিক অর্ধসত্য-অসত্য মিলিয়ে মামলা দিয়ে তাকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়। মানবিক অভিজ্ঞান বলে যে, এটি আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ ন্যায়পরিচালন ব্যবস্থার জন্য একটি অশনি সংকেত হয়ে দেখা দেবে।

বিশেষ করে সাংবিধানিক মামলায় বিচারিক মতামতের বিরুদ্ধে এবং জুলাই আন্দোলনে ঢাকায় বা এর উপকণ্ঠে সংঘটিত কোনো হত্যায় কাল্পনিকভাবে মামলা দায়েরের একটি অসুস্থ ও অযাচিত ধারা অনুসরণ করে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা, অবিশ্বাস্য ও অগ্রহণযোগ্য ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করে যেভাবে হাতকড়া পরানো হয়েছে, আদালতে হাজির করা হয়েছে, রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে ইত্যাদি যেকোনো সাংবিধানিক-ফৌজদারি-আইন বিজ্ঞানের মানদণ্ডে অগ্রহণযোগ্য।

বিচারকদের সুরক্ষার সুপ্রতিষ্ঠিত যেসব বিধিবদ্ধ বা কমন ল’ রয়েছে, কোনো (প্রধান) বিচারপতির গ্রেপ্তার তার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তাই এ ঘটনা আমাদের বিচারিক সংস্কৃতিতে এক কলঙ্কের তিলক হিসেবে দেখা দিয়েছে।

তারা প্রধান বিচারপতিকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনি নিদেনপক্ষে বিচারপতি খায়রুল হকের জামিনের পথের অদৃশ্য বাধাগুলোতে নজর দিন এবং তার পক্ষে যোগ্য আইনি লড়াই হওয়ার পথ উন্মুক্ত করুন।

এমএইচডি/এসএসএইচ