মেডিয়েশন নিয়ে পৃথক আইন করতে হবে : বিচারপতি আহমেদ সোহেল
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি আহমেদ সোহেল বলেছেন, বাংলাদেশে বিচার বিভাগে প্রায় ৪৫ লাখ মামলাজট লেগে আছে। এই মামলাজট নিষ্পত্তিতে প্রচলিত বিচার ব্যবস্থা পুরোপুরি সফল নয়। মামলাজট কমাতে মেডিয়েশন পদ্ধতির উপর গুরুত্ব দিতে হবে। বিশ্বের অনেক দেশ মেডিয়েশন পদ্ধতি প্রয়োগ করে মামলাজট কমাতে সফল হয়েছে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের মেডিয়েশন সেন্টারে মেডিয়েশন বিষয় এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেডিয়েশন সোসাইটি(বিমস) এ কর্মশালার আয়োজন করে।
বিজ্ঞাপন
বিচারপতি আহমেদ সোহেল বলেন, মেডিয়েশন পদ্ধতিকে গ্রামগঞ্জে ছড়িয়ে দিতে হবে। মামলাজট নিরসনে মেডিয়েশনের সৌন্দর্য মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। অন্ততপক্ষে প্রত্যেক জেলায় একটি করে কমিউনিটি মেডিয়েশন সেন্টার গড়ে তুলতে হবে।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
নওগাঁয় প্রথম কমিউনিটি মেডিয়েশন সেন্টার প্রতিষ্ঠার জন্য বিমসের চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকার লিগ্যাল এইডের সংশোধনীর যে অধ্যাদেশ জারি করেছে সেটি মেডিয়েশনের জন্য ইতিবাচক উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই অধ্যাদেশ জারির ফলে মেডিয়েশনের মাধ্যমে মামলা বা বিরোধ নিষ্পত্তির পথ আরো প্রশস্ত হয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। মেডিয়েশন বিষয়ে জাতিসংঘের সিঙ্গাপুর কনভেনশনে বিশ্বের ৫৪ দেশ স্বাক্ষর করেছে। বাংলাদেশেরও সিঙ্গাপুর কনভেনশনে স্বাক্ষর করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় মেডিয়েশন নিয়ে পৃথক আইন করতে সরকারের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।
অ্যাক্রিডিটেড মেডিয়েটর ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হুমায়রা নূরের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন- বিমসের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এস এন গোস্বামী, সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা জজ শরীফ মো. সানাউল হক, রাজনীতি গবেষক শম্পা বসু, এশিয়া-আফ্রিকা মেডিয়েশন অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মেডলিন কিমিই, সার্ক মেডিয়েশন ফোরামের চেয়ারম্যান জর্জ ইস্যু ভিক্টর এবং মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।
কর্মশালা শেষে অংশগ্রহণকারীদের হাতে সনদ তুলে দেন বিচারপতি আহমেদ সোহেল।
এমএইচডি/এমজে