বিএসবি গ্লোবালের খায়রুল বাশারের আরও ৪ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ
বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কসের স্বত্বাধিকারী খায়রুল বাশার বাহারের প্রায় ৪ কোটি টাকা মূল্যের ৩টি ফ্ল্যাট ক্রোক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সিআইডির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞ জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত খায়রুল বাশার বাহারের নামে থাকা ফ্ল্যাট ক্রোক ও রিসিভার নিয়োগের আদেশ দিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান।
তিনি বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ পাওয়ার পর গত ৪ মে ডিএমপির গুলশান থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা (মামলা নং-৫) দায়ের করে সিআইডি। পরে গত ১৪ জুলাই ধানমন্ডি এলাকা থেকে সিআইডি তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে।
বিজ্ঞাপন
অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি খায়রুল বাশার বাহার নিজেকে একজন শিক্ষাবিদ ও ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিতেন। কিন্তু তিনি এর আড়ালে বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কস নামক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্রের সহযোগিতায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে প্রতারণার মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেন এবং বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হোন।
খায়রুল বাশার বাহার ও তার সহযোগীরা সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের আমেরিকা, কানাডাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উচ্চ শিক্ষার জন্য স্বল্প খরচে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রেরণের চটকদার বিজ্ঞাপন প্রচার করতেন। এভাবে পারস্পরিক যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিকট থেকে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রাথমিক সাক্ষ্যপ্রমাণাদি পাওয়া যায়।
মামলাটির প্রাথমিক তদন্তকালে জানা যায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রতারণার মাধ্যমে অর্জিত অপরাধলব্ধ অর্থ দিয়ে ৩টি ফ্ল্যাটের মালিক হয় যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৪ কোটি টাকা। সিআইডির আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত আসামির নামে থাকা ফ্ল্যাট ক্রোক ও রিসিভার নিয়োগের আদেশ প্রদান করেছেন।
বর্তমানে মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট পরিচালনা করছে। এর তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে এবং অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির সন্ধান করা হচ্ছে। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার স্বার্থে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, অভিযুক্ত প্রতারণার অর্থ দিয়ে ১২২.৪৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেছেন, যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৪২.৮৫ কোটি টাকা। সিআইডির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত তার নামে থাকা স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন।
জেইউ/বিআরইউ