ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের মামলায় বুয়েটের ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায়কে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২২ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এহসানুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে জামিনের বিষয়ে শুনানির জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন আদালত।

এদিন তাকে আদালতের হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চকবাজার থানার উপ-পরিদর্শক শাহজাহান সিরাজ তাকে কারাগারে আটকে রাখার আবেদন করেন। এসময় শ্রীশান্তের জামিন চেয়ে আদালতে শুনানি করেন তার আইনজীবী সাইফুল ইসলাম। 

অপরদিকে রাষ্ট্র পক্ষ থেকে জামিনের বিরোধীতা করেন অ্যাডভোকেট শামসুদ্দোহা সুমন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ সময় বিচারক বলেন, এই মামলার এজাহারের সঙ্গে ধারার অমিল রয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতি বৃহস্পতিবার জামিন শুনানি হবে।

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ এনে শ্রীশান্ত রায়ের বিরুদ্ধে রাজধানীর চকবাজার থানায় মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির নিরাপত্তা কর্মকর্তা আফগান হোসেন। 

সেখানে অভিযোগ করা হয়, শ্রীশান্ত বুয়েটের আহসান উল্লাহ হলে অবস্থান করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম Reddit-e  ছদ্ম নাম ‘উইকলি সার্ভিস ৯২৩’ (ইংরেজিতে) আইডি ব্যবহার করে মুসলিম নারী ও ইসলাম ধর্ম নিয়ে চলতি বছরের ৮ জুন থেকে ৭ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন লেখালিখে করে। সেখানে তার মন্তব্যসহ আরো অনেক অশ্লীল এবং কুরুচিপূর্ণ, ধর্মীয় বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য পোস্ট করেন। এ আসামি ছদ্ম নাম ব্যবহার করে দীর্ঘদিন যাবৎ মুসলিম নারী ও ইসলাম ধর্মীয় বিষয়ে অশ্লীল এবং কুরুচিপূর্ণ আপত্তিকর পোস্ট করে আসছে। দীর্ঘদিন চেষ্টা করে ছদ্মনামে ব্যবহৃত আইডির প্রকৃত পরিচয়ধারী ব্যক্তি আসামি শ্রীশান্ত রায়কে শনাক্ত করা হয়। আসামির মুসলিম নারী সংক্রান্ত অশ্লীল মন্তব্য এবং ধর্মীয় ঘৃণা ও বিদ্বেষমূলক মন্তব্য, বুয়েটের শিক্ষার্থী ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে।

এনআর/এমএসএ